সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নি*হ*ত পাইলট তৌকিরের বাবা-মাকে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়

ঢাকায় প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নি*হ*ত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের মা-বাবা-বোনকে সোমবার (২১জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত জানানো হয়নি তৌকিরের খবর। তারা জানতেন, তৌকির ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে জীবিত দেখার আশায় তারা বিকেলে বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে ঢাকায় রওনা হন।
রাজশাহী নগরীর উপশহর তিন নম্বর সেক্টরের ‘আশ্রয়’ নামের তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন নি*হ*ত বৈমানিক তৌকিরের পরিবার। এ বাসাটিতে থাকেন তার বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন, ছোট বোন সৃষ্টি ও বোনের স্বামী।
বাসার মালিক আতিকুল ইসলাম জানান, তৌকির ইসলাম সাগর প্রথমবারের মতো একা প্রশিক্ষণ বিমান চালাবেন এই খবরে পুরো পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দুপুরের পর তারা বিমান বিধ্বস্তের খবর পান। সে সময় জানতে পারেন সাগর জীবিত আছেন এবং ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি জানান, সাগরকে দেখতে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে এয়ারক্রাফটের ব্যবস্থা করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে র‌্যাবের একটি মাইক্রোবাসে ভাড়া বাসা থেকে তাদের রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তারা ঢাকা রওনা হন।
পাইলট তৌকির ইসলাম সাগরের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এলাকার কানসাটে। তার বাবা তহুরুল ইসলাম আমদানি রপ্তানির ব্যবসা করেন। তৌকির রাজশাহী সরকারি ল্যাবরেটরী হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। পরে পাবনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হন। গত এক বছর আগে তিনি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকে বিয়ে করেন।
সোমবার দুপুরে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তৌকির আহত হন। উদ্ধারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে তিনি মৃ*ত্যু*বরণ করেন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নি*হ*ত পাইলট তৌকিরের বাবা-মাকে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়

প্রকাশিত সময় : ০৭:২০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
ঢাকায় প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নি*হ*ত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের মা-বাবা-বোনকে সোমবার (২১জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত জানানো হয়নি তৌকিরের খবর। তারা জানতেন, তৌকির ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে জীবিত দেখার আশায় তারা বিকেলে বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে ঢাকায় রওনা হন।
রাজশাহী নগরীর উপশহর তিন নম্বর সেক্টরের ‘আশ্রয়’ নামের তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন নি*হ*ত বৈমানিক তৌকিরের পরিবার। এ বাসাটিতে থাকেন তার বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন, ছোট বোন সৃষ্টি ও বোনের স্বামী।
বাসার মালিক আতিকুল ইসলাম জানান, তৌকির ইসলাম সাগর প্রথমবারের মতো একা প্রশিক্ষণ বিমান চালাবেন এই খবরে পুরো পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দুপুরের পর তারা বিমান বিধ্বস্তের খবর পান। সে সময় জানতে পারেন সাগর জীবিত আছেন এবং ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি জানান, সাগরকে দেখতে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে এয়ারক্রাফটের ব্যবস্থা করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে র‌্যাবের একটি মাইক্রোবাসে ভাড়া বাসা থেকে তাদের রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তারা ঢাকা রওনা হন।
পাইলট তৌকির ইসলাম সাগরের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এলাকার কানসাটে। তার বাবা তহুরুল ইসলাম আমদানি রপ্তানির ব্যবসা করেন। তৌকির রাজশাহী সরকারি ল্যাবরেটরী হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। পরে পাবনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হন। গত এক বছর আগে তিনি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকে বিয়ে করেন।
সোমবার দুপুরে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তৌকির আহত হন। উদ্ধারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে তিনি মৃ*ত্যু*বরণ করেন।