রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে বর্ষা ‍শুরুর পর নিহত ২৫৮, ক্ষতিগ্রস্ত ১০২৭ বাড়ি

ভারী বর্ষণের কারণে পাকিস্তানে গত চব্বিশ ঘণ্টায় অন্তত ছয় জন নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)। এ নিয়ে চলমান বর্ষা মৌসুমে দেশজুড়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৮ জনে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এনডিএমএ জানায়, খাইবার পাখতুনখোয়ায় তিন জন নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। ইসলামাবাদে দুই জন এবং সিন্ধ প্রদেশে একজন বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

গত কয়েক সপ্তাহের বর্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে মোট দুই শত আটান্ন জন মারা গেছেন এবং ছয় শত ষোলো জন আহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৮৯ পুরুষ, ৪৬ নারী এবং ১২৩ শিশু। আহতদের মধ্যে আছেন ২৪৩ পুরুষ, ১৭০ নারী এবং ২০৩ শিশু। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়, চলমান আবহাওয়ার সংকটে কতটা মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।

বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ও গবাদি পশুরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ২২টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ৩৬টি গবাদিপশু মারা গেছে। বর্ষার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১০২৭টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ৩৬৪টি গবাদিপশু মারা গেছে।

বুধবারের প্রতিবেদন অনুসারে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশ, যেখানে ১৩৯ জন মারা গেছেন এবং ৪৭৭ জন আহত হয়েছেন। এরপর রয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া (৬০ নিহত) ও সিন্ধ (২৪ জন নিহত)। বালুচিস্তানে ১৬ জন, ইসলামাবাদে ৬ জন, গিলগিট-বালতিস্তানে ৫ জন এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে দুই জন নিহত হয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পাকিস্তানে বর্ষা ‍শুরুর পর নিহত ২৫৮, ক্ষতিগ্রস্ত ১০২৭ বাড়ি

প্রকাশিত সময় : ১১:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

ভারী বর্ষণের কারণে পাকিস্তানে গত চব্বিশ ঘণ্টায় অন্তত ছয় জন নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)। এ নিয়ে চলমান বর্ষা মৌসুমে দেশজুড়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৮ জনে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এনডিএমএ জানায়, খাইবার পাখতুনখোয়ায় তিন জন নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। ইসলামাবাদে দুই জন এবং সিন্ধ প্রদেশে একজন বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

গত কয়েক সপ্তাহের বর্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে মোট দুই শত আটান্ন জন মারা গেছেন এবং ছয় শত ষোলো জন আহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৮৯ পুরুষ, ৪৬ নারী এবং ১২৩ শিশু। আহতদের মধ্যে আছেন ২৪৩ পুরুষ, ১৭০ নারী এবং ২০৩ শিশু। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়, চলমান আবহাওয়ার সংকটে কতটা মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।

বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ও গবাদি পশুরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ২২টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ৩৬টি গবাদিপশু মারা গেছে। বর্ষার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১০২৭টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ৩৬৪টি গবাদিপশু মারা গেছে।

বুধবারের প্রতিবেদন অনুসারে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশ, যেখানে ১৩৯ জন মারা গেছেন এবং ৪৭৭ জন আহত হয়েছেন। এরপর রয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া (৬০ নিহত) ও সিন্ধ (২৪ জন নিহত)। বালুচিস্তানে ১৬ জন, ইসলামাবাদে ৬ জন, গিলগিট-বালতিস্তানে ৫ জন এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে দুই জন নিহত হয়েছেন।