সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উৎসবমুখর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, পরিবার নিয়ে আসছেন অনেকে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সন্তানদের নিয়ে আসছেন অভিভাবকেরা। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পরিবার নিয়ে আসছেন।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর সোয়া বারোটায় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৩৬ জুলাই উদযাপনের দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বনানী থেকে সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছেন ব্যবসায়ী মোমিনুর রহমান। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমি এবং আমার স্ত্রী একসঙ্গে রাজধানীর বনানীতে স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়ানোর জন্য আন্দোলন করেছি। আজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তি উদযাপন করতে আসলাম। গত বছর এই দিনে স্বৈরাচার পালানোর কথা শুনে যেমন আনন্দ পেয়েছিলাম, আজ এখানে এসে ঠিক তেমনই মনে হচ্ছে।’’

‘‘আমরা যে আশা নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম সেই প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি। সরকারকে বলব, সব রাজনৈত দলের সঙ্গে আলোচনা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে।’’ বলেন মোমিনুর রহমান।

আয়রা ও আজোয়া দুই সন্তানকে নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছেন সামিয়া আক্তার। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমার যমজ কন্যাদের নিয়ে আসছি প্রিয় শিল্পীদের গান শুনতে। আমরা গত বছর ফার্মগেটে আন্দোলন করেছিলাম। আগামী বাংলাদেশ শিশুদের জন্য নিরাপদ হোক আমরা সেই প্রত্যাশা করি।’’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সোমবার (৪ আগস্ট) রাত থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। এখানে বিকাল ৫টায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। রাত ৮টায় সর্বশেষ আয়োজনে থাকছে আর্টসেল-এর গান। অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়।

দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে ‘ফ্যাসিস্টের পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপন করা হবে। ‘পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপনের পর পুনরায় শুরু হবে কনসার্ট। একে একে পারফর্ম করবেন সায়ান, ইথুন বাবু ও মৌসুমি, সোলস এবং ওয়ারফেজ। সন্ধ্যায় সংসদ ভবনের সামনে লাখো কণ্ঠে জুলাইয়ের গান ‘কতো বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা…’ গাওয়া হবে।

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের পর আবারও শুরু হবে কনসার্ট। একে একে পারফর্ম করবেন বেসিক গিটার লারনিং স্কুল, এফ মাইনর এবং পারশা। মাগরিবের নামাজের বিরতির পর পারফর্ম করবেন এলিটা করিম। তার পারফরম্যান্সের পর অনুষ্ঠিত হবে স্পেশাল ড্রোন ড্রামা। ড্রোন শো-এর পর সংগীত পরিবেশন করবে জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ছাড়াও মানিক মিয়াজুড়ে দিনভর থাকছে উৎসবমুখর নানা আয়োজন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

উৎসবমুখর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, পরিবার নিয়ে আসছেন অনেকে

প্রকাশিত সময় : ০৪:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সন্তানদের নিয়ে আসছেন অভিভাবকেরা। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পরিবার নিয়ে আসছেন।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর সোয়া বারোটায় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৩৬ জুলাই উদযাপনের দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বনানী থেকে সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছেন ব্যবসায়ী মোমিনুর রহমান। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমি এবং আমার স্ত্রী একসঙ্গে রাজধানীর বনানীতে স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়ানোর জন্য আন্দোলন করেছি। আজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তি উদযাপন করতে আসলাম। গত বছর এই দিনে স্বৈরাচার পালানোর কথা শুনে যেমন আনন্দ পেয়েছিলাম, আজ এখানে এসে ঠিক তেমনই মনে হচ্ছে।’’

‘‘আমরা যে আশা নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম সেই প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি। সরকারকে বলব, সব রাজনৈত দলের সঙ্গে আলোচনা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে।’’ বলেন মোমিনুর রহমান।

আয়রা ও আজোয়া দুই সন্তানকে নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছেন সামিয়া আক্তার। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমার যমজ কন্যাদের নিয়ে আসছি প্রিয় শিল্পীদের গান শুনতে। আমরা গত বছর ফার্মগেটে আন্দোলন করেছিলাম। আগামী বাংলাদেশ শিশুদের জন্য নিরাপদ হোক আমরা সেই প্রত্যাশা করি।’’

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সোমবার (৪ আগস্ট) রাত থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। এখানে বিকাল ৫টায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। রাত ৮টায় সর্বশেষ আয়োজনে থাকছে আর্টসেল-এর গান। অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়।

দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে ‘ফ্যাসিস্টের পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপন করা হবে। ‘পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপনের পর পুনরায় শুরু হবে কনসার্ট। একে একে পারফর্ম করবেন সায়ান, ইথুন বাবু ও মৌসুমি, সোলস এবং ওয়ারফেজ। সন্ধ্যায় সংসদ ভবনের সামনে লাখো কণ্ঠে জুলাইয়ের গান ‘কতো বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা…’ গাওয়া হবে।

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের পর আবারও শুরু হবে কনসার্ট। একে একে পারফর্ম করবেন বেসিক গিটার লারনিং স্কুল, এফ মাইনর এবং পারশা। মাগরিবের নামাজের বিরতির পর পারফর্ম করবেন এলিটা করিম। তার পারফরম্যান্সের পর অনুষ্ঠিত হবে স্পেশাল ড্রোন ড্রামা। ড্রোন শো-এর পর সংগীত পরিবেশন করবে জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ছাড়াও মানিক মিয়াজুড়ে দিনভর থাকছে উৎসবমুখর নানা আয়োজন।