রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা ২১২

গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে অপুষ্টি ও অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে, যার মধ্যে ৯৮ জন শিশু। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আকাশপথে চালানো এক বিতরণ অভিযানে ১৫ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।শনিবার কেন্দ্রীয় গাজার তথাকথিত নেজারিম করিডরের কাছে খাদ্য সহায়তার একটি প্যালেট পড়ে গিয়ে মুহান্নাদ জাকারিয়া ঈদ নামে ওই কিশোর চাপা পড়ে মারা যায়।

আল জাজিরা যাচাই করা ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন মানুষ মুহান্নাদের মরদেহ ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। অন্য এক ফুটেজে তার ভাইকে মরদেহ বহন করতে এবং বাবা আল-আউদা হাসপাতালের ভেতর ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায়।মুহান্নাদের ভাই রয়টার্সকে বলেন, ‘দুর্ভিক্ষ আর কষ্টের মাঝেও আমার ভাই বিমান থেকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া সহায়তা সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। একটি বাক্স সরাসরি তার ওপর পড়ে যায় এবং সে শহীদ হয়।

জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করেছে যে, এ ধরনের আকাশপথে সহায়তা পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ, অকার্যকর ও ব্যয়সাপেক্ষ। সংস্থাটি ইসরায়েলকে স্থলপথে নিয়মিত মানবিক সহায়তা ঢোকার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এ পর্যন্ত আকাশপথে সহায়তা বিতরণে অন্তত ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে গাজার চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি বাহিনী পুরো গাজাজুড়ে হামলায় অন্তত ৪৭ জনকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে ৪০ জন সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে আরো ১১ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টি ও অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে, যার মধ্যে ৯৮ জন শিশু।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা ২১২

প্রকাশিত সময় : ১১:২৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে অপুষ্টি ও অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে, যার মধ্যে ৯৮ জন শিশু। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আকাশপথে চালানো এক বিতরণ অভিযানে ১৫ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।শনিবার কেন্দ্রীয় গাজার তথাকথিত নেজারিম করিডরের কাছে খাদ্য সহায়তার একটি প্যালেট পড়ে গিয়ে মুহান্নাদ জাকারিয়া ঈদ নামে ওই কিশোর চাপা পড়ে মারা যায়।

আল জাজিরা যাচাই করা ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন মানুষ মুহান্নাদের মরদেহ ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। অন্য এক ফুটেজে তার ভাইকে মরদেহ বহন করতে এবং বাবা আল-আউদা হাসপাতালের ভেতর ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায়।মুহান্নাদের ভাই রয়টার্সকে বলেন, ‘দুর্ভিক্ষ আর কষ্টের মাঝেও আমার ভাই বিমান থেকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া সহায়তা সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। একটি বাক্স সরাসরি তার ওপর পড়ে যায় এবং সে শহীদ হয়।

জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করেছে যে, এ ধরনের আকাশপথে সহায়তা পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ, অকার্যকর ও ব্যয়সাপেক্ষ। সংস্থাটি ইসরায়েলকে স্থলপথে নিয়মিত মানবিক সহায়তা ঢোকার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এ পর্যন্ত আকাশপথে সহায়তা বিতরণে অন্তত ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে গাজার চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি বাহিনী পুরো গাজাজুড়ে হামলায় অন্তত ৪৭ জনকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে ৪০ জন সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে আরো ১১ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টি ও অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে, যার মধ্যে ৯৮ জন শিশু।