মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোস্টেলে মেডিক্যাল ছাত্রীর লাশ, পাশে সুইসাইড নোট

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল থেকে শরিফা ইয়াসমিন সৌমা (২১) নামের এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ৩১১ নম্বর কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সৌমা প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। খুলনার খালিশপুরের তায়েদুর রহমান ও ফাতেমা আক্তার দম্পতির মেয়ে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট ও ইনজেকশন সিরিঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৪-৫ পৃষ্ঠার দীর্ঘ সুইসাইড নোটে তিনি তার মানসিক চাপ ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা কষ্টের কথা লিখে গেছেন।

মেডিক্যাল সূত্র জানায়, সৌমা দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনা ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপে ভুগছিলেন। প্রায়ই তিনি বিষণ্ন থাকতেন।

তার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সহপাঠী ও শিক্ষকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘সৌমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মরদেহ মর্গে সংরক্ষিত আছে।’ তিনি বলেন, ‘মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ময়মনসিংহের পথে রওনা হয়েছেন সৌমার বাবা-মা।

তারা পৌঁছানোর পর তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সহপাঠী ও শিক্ষকদের বক্তব্য, সুইসাইড নোট—সব মিলিয়ে মোটামুটি নিশ্চিতই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

হোস্টেলে মেডিক্যাল ছাত্রীর লাশ, পাশে সুইসাইড নোট

প্রকাশিত সময় : ০৯:৪৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল থেকে শরিফা ইয়াসমিন সৌমা (২১) নামের এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ৩১১ নম্বর কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সৌমা প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। খুলনার খালিশপুরের তায়েদুর রহমান ও ফাতেমা আক্তার দম্পতির মেয়ে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট ও ইনজেকশন সিরিঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৪-৫ পৃষ্ঠার দীর্ঘ সুইসাইড নোটে তিনি তার মানসিক চাপ ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা কষ্টের কথা লিখে গেছেন।

মেডিক্যাল সূত্র জানায়, সৌমা দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনা ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপে ভুগছিলেন। প্রায়ই তিনি বিষণ্ন থাকতেন।

তার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সহপাঠী ও শিক্ষকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘সৌমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মরদেহ মর্গে সংরক্ষিত আছে।’ তিনি বলেন, ‘মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ময়মনসিংহের পথে রওনা হয়েছেন সৌমার বাবা-মা।

তারা পৌঁছানোর পর তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সহপাঠী ও শিক্ষকদের বক্তব্য, সুইসাইড নোট—সব মিলিয়ে মোটামুটি নিশ্চিতই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’