গাজীপুরের শ্রীপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে যাওয়ার ২৭ ঘণ্টা পর কলেজছাত্রী লামিয়া আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ত্রিমোহনী এলাকায় সুতিয়া, ব্রহ্মপুত্র ও বানার—তিন নদীর মোহনা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আবদুল বারিক কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর মরদেহটি লামিয়া আক্তারের বলে শনাক্ত করেছেন তার স্বজনরা।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, টঙ্গী থেকে আসা চার সদস্যের একটি ডুবুরিদল আজ সকাল থেকে মরদেহটির খোঁজে নদীতে ফের তল্লাশি শুরু করে।
দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে তিন নদীর মোহনা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।
এর আগে গতকাল বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার ত্রিমোহনী সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে যান লামিয়া আক্তার।
নিহত লামিয়া আক্তার (১৮) উপজেলার নান্দিয়াসাঙ্গুন গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। লামিয়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী এলাকার ক্যাপ্টেন (অব.) গিয়াস উদ্দিন আহমেদ কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
লামিয়া আক্তারের কয়েকজন সহপাঠী জানায়, নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে লামিয়া তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে লেখেন, ‘এ পৃথিবীর প্রতি হাজারটা অভিযোগ রেখে গেলাম। এই পৃথিবীর প্রতি আকাশ পরিমাণ অভিমান রেখে গেলাম। এই পৃথিবী আমাকে দেয়নি ভালো থাকতে।
এই পৃথিবীর মানুষ, আপন মানুষ, নিষ্ঠুর চেহারা, নিষ্ঠুর ব্যবহার, নিষ্ঠুর চলাচল, যা আমাকে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার শক্তিটুকু দেয়নি। যাদের ভেবেছি আপন, তারাই মারে ছুরি। …’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আবদুল বারিক বলেন, ‘ওই তরুণী বাড়িতে ডায়েরিতে কিছু কথা লিখে রেখে গেছেন। পুলিশ এসব বিষয়সহ তদন্ত করছে।’

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 





















