গাজা শহরে প্রথমবারের মতো দুর্ভিক্ষ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খাদ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘ সমর্থিত একটি সংস্থা। শুক্রবার ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) তার শ্রেণিবিভাগ পঞ্চম ধাপে উন্নীত করেছে। আর এটি হচ্ছে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার স্কেলের সর্বোচ্চ এবং সবচেয়ে খারাপ স্তর।
আইপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা গভর্নরেটে দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত করা হয়েছে, যার মধ্যে গাজা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ দেইর আল-বালাহ এবং খান ইউনিসে ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ বিস্তৃত হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ ‘ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং মৃত্যুর’ মুখোমুখি হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, আইপিসি নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে না যে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে কিনা। তবে এমন বিশ্লেষণ প্রদান করে যা সরকার, সংস্থা এবং সংস্থাগুলোকে দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে বিবৃতি বা ঘোষণা জারি করতে দেয়।
আইপিসির ৫৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দুর্ভিক্ষ ‘সম্পূর্ণরূপে মনুষ্যসৃষ্ট’ এবং এটি ‘স্থগিত ও বিপরীত’ করা যেতে পারে।
সংস্থাটি বলেছে, “বিতর্ক ও দ্বিধাগ্রস্ততার সময় পার হয়ে গেছে, দুর্ভিক্ষ উপস্থিত এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।”
প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেছেন, “যখন মনে হচ্ছে গাজার জীবন্ত নরক বর্ণনা করার জন্য আর কোনো শব্দ অবশিষ্ট নেই, তখনই একটি নতুন শব্দ যোগ করা হয়েছে: দুর্ভিক্ষ।”
তিনি বলেন, এটি ‘কোন রহস্য নয়’, বরং ‘একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, একটি নৈতিক অভিযোগ এবং মানবতার ব্যর্থতা।’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক /দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম 
























