তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচার চেয়ে মানববন্ধন করা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতাকে আহ্বায়ক করে জাতীয়তাবাদী আইন ফোরাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিতর্কিত কমিটি গঠনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং রাজনৈতিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে নানা সমালোচনা।
আজ (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ জাতীয়বাদী আইন ছাত্র ফোরামের কেন্দ্রীয় সংসদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কমিটি স্থগিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইমরান মিয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এর আগে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র বিরুদ্ধে মানবন্ধন ও কর্মসূচি পালন করেন। গত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাজনৈতিক পরিচয় পরিবর্তন করে ছাত্রদলে ভিরে এ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। সুযোগ বুঝে আহ্বায়ক পদও ভাগিয়ে নেয় তিনি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের এক নেতা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, এ কমিটির বিষয়ে আমি অবগত না। যখন জানতে পারি সে ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিল তখন দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদেরকে অবহিত করি। দুংখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ত্যাগী নেতারা বরাবরই অবহেলিত হচ্ছে এ কমিটি তার প্রমাণ। অর্থ এবং তদবির করে কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সময়ে পদ ভাগিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে পোস্টে বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এর রাজনীতি কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের জন্য আজ এই পর্যায়ে এসে পৌছেছে। তাদের চাওয়া পাওয়ার হিসেব করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির পরিবেশটাই তারা নষ্ট করে দিয়েছে। এদেরকে কারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় সেটা সবাই জানে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে বসে আপনারা তামাশা করবেন আর সেই তামাশা সবাই সহ্য করে যাবে দিনের পর দিন??
দলের দুঃসময়ের কর্মীদের আপনারা সাইড না দিয়ে দুধকলা দিয়ে আপনারা এদের পালেন। শতবার মানা করা সত্ত্বেও এদেরকে আপনারা কাছে টেনে নিয়ে দুঃসময়ের কর্মীদের অবজ্ঞা, অবহেলা করেন যা তাদের খুব ব্যথিত করে। আপনাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিছু বললেও আপনারা হুমকি দেন আপনারা বড় পদে আছেন অমুক করে দিবেন তমুক করে দিবেন।
এদেরকে যারা পালে এবং যারা আশ্রয়, প্রশ্রয় দেয় এদেরকে সহ তাদের বিরুদ্ধেও দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
কমিটি স্থগিতের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য (দপ্তরে দায়িত্ব প্রাপ্ত) নাসিমুল গনি মনন বলেন, যখন জানতে পারি সে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানবন্ধন করেছে এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। জানার পর সাথে সাথে আমরা এ কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করি। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
ছাত্রলীগ নেতাকে দিয়ে কিভাবে ছাত্রদলের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ফোরামের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সে আমাদের কাছে তার তথ্য গোপন করে রেখেছিল। আমাদের কাছে বিএনপির কর্মসূচির কিছু ছবি দিয়েছিল। কিভাবে যাচাই বাচাই করা হয়েছে আহ্বায়ক বলতে পারবে। আমি কথা বলে আপনাকে জানাব।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 


























