মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণে ৯ জনের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৯ সদস্য দগ্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন সময় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের সবার মৃত্যু হয়। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) আসমা বেগম (৩৫) নামের আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে নিহতের কলেজ পড়ুয়া মেয়েও মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতজনে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণে দগ্ধের পর থেকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে এই নারীকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সার্জারি চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।

তিনি বলেন, “চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসমার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।”

গত ২২ আগস্ট শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টায় আচমকা বিস্ফোরণে পাশাপাশি দুটি ঘরের একই পরিবারের ৯ সদস্য দগ্ধ হন। পরবর্তীতে তাদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২৪ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ হওয়া এক মাস বয়সী শিশু ইমাম উদ্দিন, ২৫ আগস্ট ওই শিশুর নানি তাহেরা আক্তার (৫০), এরপর ২৮ আগস্টে হাসান গাজী ও তার ছোট্ট শিশু মেয়ে জান্নাত, শুক্রবার সালমা ও নিহত আসমার মেয়ে তিসাও মৃত্যুবরণ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণে ৯ জনের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত সময় : ১১:০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৯ সদস্য দগ্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন সময় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের সবার মৃত্যু হয়। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) আসমা বেগম (৩৫) নামের আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে নিহতের কলেজ পড়ুয়া মেয়েও মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতজনে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণে দগ্ধের পর থেকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে এই নারীকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সার্জারি চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।

তিনি বলেন, “চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসমার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।”

গত ২২ আগস্ট শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টায় আচমকা বিস্ফোরণে পাশাপাশি দুটি ঘরের একই পরিবারের ৯ সদস্য দগ্ধ হন। পরবর্তীতে তাদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২৪ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ হওয়া এক মাস বয়সী শিশু ইমাম উদ্দিন, ২৫ আগস্ট ওই শিশুর নানি তাহেরা আক্তার (৫০), এরপর ২৮ আগস্টে হাসান গাজী ও তার ছোট্ট শিশু মেয়ে জান্নাত, শুক্রবার সালমা ও নিহত আসমার মেয়ে তিসাও মৃত্যুবরণ করেন।