সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাতক থাকায় হাসিনার আইনজীবী হওয়ার আবেদন নাকচ

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্লট দুর্নীতি মামলা লড়তে চার আইনজীবীর আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। তারা হলেন- মোরশেদ হোসেন শাহীন, ইমরান হোসেন, শেখ ফরিদ ও মো. তপু।

‎আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন তিনটি মামলায় আইনজীবী হতে তারা আবেদন করেন। কিন্তু আসামি পলাতক থাকায় ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ মো. রবিউল আলম এ আবেদন নাকচ করেছেন।

‎‎মামলাগুলোতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী ছালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‎‎এদিকে এ মামলায় এদিন ছয়জন সাক্ষী হাজির হয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

‎‎রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক।

‎মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

‎সম্প্রতি সবগুলো মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

‎‎এর তিন মামলার প্রত্যেকটিতে চারজন করে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট তিন মামলায় বাদীগণ সাক্ষ্য দেন।

‎মামলার চার্জশিটে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩নং রাস্তার ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পলাতক থাকায় হাসিনার আইনজীবী হওয়ার আবেদন নাকচ

প্রকাশিত সময় : ০৬:১৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্লট দুর্নীতি মামলা লড়তে চার আইনজীবীর আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। তারা হলেন- মোরশেদ হোসেন শাহীন, ইমরান হোসেন, শেখ ফরিদ ও মো. তপু।

‎আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন তিনটি মামলায় আইনজীবী হতে তারা আবেদন করেন। কিন্তু আসামি পলাতক থাকায় ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ মো. রবিউল আলম এ আবেদন নাকচ করেছেন।

‎‎মামলাগুলোতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী ছালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‎‎এদিকে এ মামলায় এদিন ছয়জন সাক্ষী হাজির হয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

‎‎রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক।

‎মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

‎সম্প্রতি সবগুলো মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

‎‎এর তিন মামলার প্রত্যেকটিতে চারজন করে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট তিন মামলায় বাদীগণ সাক্ষ্য দেন।

‎মামলার চার্জশিটে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩নং রাস্তার ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।