শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মির্জাপুরে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ২১ বছরের বীথি আক্তার নামে এক গৃহবধূ একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সন্তানদের জন্ম দেন তিনি।

পারিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের আদাজান গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে বীথির সঙ্গে একই জেলার কালিহাতী উপজেলার বল্লাবাড্ডা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নাজমুল ইসলামের বিয়ে হয়। সাত মাস আগে তিনি গর্ভধারণ করেন।

প্রসবের পর চার নবজাতকের জন্মে পরিবারে আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে।
বীথির বাবা বাদল মিয়া বলেন, ‘একসঙ্গে চার নাতি-নাতনি পেয়ে পরিবারের সবাই খুশি।’ তিনি চার নবজাতকের সুস্থতা কামনা করেন।

কুমুদিনী হাসপাতালের গাইনি বিভাগের রেসিডেন্ট সার্জন ডা. মেহেরুন নেছা বলেন, ‘সাধারণত গর্ভধারণের ৩৬ সপ্তাহ পর স্বাভাবিক প্রসব হয়ে থাকে।

একসঙ্গে চারটি বাচ্চা গর্ভধারণ একটি বিরল ঘটনা। পাঁচ লক্ষ ১২ হাজার গর্ভধারণে এটি একবার ঘটে। এ ধরনের প্রেগন্যান্সি মা ও চিকিৎসকের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। এতে মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা ও সময়ের আগে ডেলিভারির ঝুঁকি থাকে।

হাসপাতালের উপপরিচালক অনিমেষ ভৌমিক লিটন বলেন, ‘চার নবজাতকের ওজন এক কেজি ও এরও কম। তাদের সুস্থ রাখতে হাসপাতালের চিকিৎসকরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মির্জাপুরে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ

প্রকাশিত সময় : ০৮:০৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ২১ বছরের বীথি আক্তার নামে এক গৃহবধূ একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সন্তানদের জন্ম দেন তিনি।

পারিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের আদাজান গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে বীথির সঙ্গে একই জেলার কালিহাতী উপজেলার বল্লাবাড্ডা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নাজমুল ইসলামের বিয়ে হয়। সাত মাস আগে তিনি গর্ভধারণ করেন।

প্রসবের পর চার নবজাতকের জন্মে পরিবারে আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে।
বীথির বাবা বাদল মিয়া বলেন, ‘একসঙ্গে চার নাতি-নাতনি পেয়ে পরিবারের সবাই খুশি।’ তিনি চার নবজাতকের সুস্থতা কামনা করেন।

কুমুদিনী হাসপাতালের গাইনি বিভাগের রেসিডেন্ট সার্জন ডা. মেহেরুন নেছা বলেন, ‘সাধারণত গর্ভধারণের ৩৬ সপ্তাহ পর স্বাভাবিক প্রসব হয়ে থাকে।

একসঙ্গে চারটি বাচ্চা গর্ভধারণ একটি বিরল ঘটনা। পাঁচ লক্ষ ১২ হাজার গর্ভধারণে এটি একবার ঘটে। এ ধরনের প্রেগন্যান্সি মা ও চিকিৎসকের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। এতে মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা ও সময়ের আগে ডেলিভারির ঝুঁকি থাকে।

হাসপাতালের উপপরিচালক অনিমেষ ভৌমিক লিটন বলেন, ‘চার নবজাতকের ওজন এক কেজি ও এরও কম। তাদের সুস্থ রাখতে হাসপাতালের চিকিৎসকরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন।’