সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে পুলিশের ওপর হামলায় মামলা, আসামি সা‌ড়ে ৩ হাজার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার কবর নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৩ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

আজ শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম।

শুক্রবার জুম্মবাদ গোয়ালন্দ উপজেলা আনসার ক্লাব চত্বরে জনতা একত্রিত হয়। পরে নুরাল পাগলের আস্থানায় হামলা করে। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি, ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করে। আগুন ধরিয়ে দেয় মাজারে। এ সময় নুরাল পাগলের অনুসারী ও উত্তেজিত জনতার ইট, পাথর নিক্ষেপে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। পরে উত্তেজিতরা কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পদ্মার মোড়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় নুরাল পাগলের মরদেহ।

গত ২৩ আগস্ট নুরাল পাগলার মৃত্যুর পর তার পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে তার নিজ বাড়ির সামনের অংশে দুই তলা সমান (প্রায় ১২ ফুট উঁচু) একটি কাঠামোর ভেতরে কবরস্থ করা হয়। পরে কবরটিকে কাবা শরীফের আদলে রং করা হয় এবং ‘হযরত ইমাম মাহদী (আ.) দরবার শরীফ’ লেখা ব্যানার টাঙানো হয়। এটি স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

রাজবাড়ীতে পুলিশের ওপর হামলায় মামলা, আসামি সা‌ড়ে ৩ হাজার

প্রকাশিত সময় : ১১:৪১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার কবর নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৩ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

আজ শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম।

শুক্রবার জুম্মবাদ গোয়ালন্দ উপজেলা আনসার ক্লাব চত্বরে জনতা একত্রিত হয়। পরে নুরাল পাগলের আস্থানায় হামলা করে। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি, ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করে। আগুন ধরিয়ে দেয় মাজারে। এ সময় নুরাল পাগলের অনুসারী ও উত্তেজিত জনতার ইট, পাথর নিক্ষেপে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। পরে উত্তেজিতরা কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পদ্মার মোড়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় নুরাল পাগলের মরদেহ।

গত ২৩ আগস্ট নুরাল পাগলার মৃত্যুর পর তার পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে তার নিজ বাড়ির সামনের অংশে দুই তলা সমান (প্রায় ১২ ফুট উঁচু) একটি কাঠামোর ভেতরে কবরস্থ করা হয়। পরে কবরটিকে কাবা শরীফের আদলে রং করা হয় এবং ‘হযরত ইমাম মাহদী (আ.) দরবার শরীফ’ লেখা ব্যানার টাঙানো হয়। এটি স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি করে।