শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র, রক্ষণশীল রাজনৈতিক নেতা ও টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন কার্ক। সে সময় দূর থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলিটি তার ঘাড়ে এসে লাগে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চার্লি কার্ক নিহতের পর সন্দেহভাজন একজনকে হেফাজতে নিয়েছে এফবিআই। এক্স প্ল্যাটফর্মে এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল লিখেছেন, “আজকের ভয়াবহ গুলিতে চার্লি কার্কের জীবনহানির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এখন হেফাজতে। ইউটাহের স্থানীয় ও রাজ্য কর্তৃপক্ষ এফবিআইকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।”

হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, চার্লি কার্ক স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ২০ মিনিটে ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের ওরেম শহরের ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। কার্ক তার ঘাড়ের দিকে হাত বাড়ান এবং চেয়ার থেকে পড়ে যান। উপস্থিত দর্শকেরা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পরই কার্কের ঘাড় থেকে রক্ত ঝরে পড়ছে।

ইউটাহর গভর্নর স্পেন্সার কক্স এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এটি আমাদের রাজ্যের জন্য একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন, দেশের জন্য একটি দুঃখজনক দিন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।”

চার্লি কার্কের বয়স হয়েছিল ৩১ বছর। তিনি ‘দ্য আমেরিকান কমব্যাক ট্যুর’ নামের রাজনৈতিক সফরের অংশ হিসেবে তরুণদের মধ্যে রক্ষণশীল মূল্যবোধ প্রচার করছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন অধ্যায় সূচিত করতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত সময় : ১০:৫২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র, রক্ষণশীল রাজনৈতিক নেতা ও টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন কার্ক। সে সময় দূর থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলিটি তার ঘাড়ে এসে লাগে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চার্লি কার্ক নিহতের পর সন্দেহভাজন একজনকে হেফাজতে নিয়েছে এফবিআই। এক্স প্ল্যাটফর্মে এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল লিখেছেন, “আজকের ভয়াবহ গুলিতে চার্লি কার্কের জীবনহানির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এখন হেফাজতে। ইউটাহের স্থানীয় ও রাজ্য কর্তৃপক্ষ এফবিআইকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।”

হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, চার্লি কার্ক স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ২০ মিনিটে ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের ওরেম শহরের ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। কার্ক তার ঘাড়ের দিকে হাত বাড়ান এবং চেয়ার থেকে পড়ে যান। উপস্থিত দর্শকেরা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পরই কার্কের ঘাড় থেকে রক্ত ঝরে পড়ছে।

ইউটাহর গভর্নর স্পেন্সার কক্স এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এটি আমাদের রাজ্যের জন্য একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন, দেশের জন্য একটি দুঃখজনক দিন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।”

চার্লি কার্কের বয়স হয়েছিল ৩১ বছর। তিনি ‘দ্য আমেরিকান কমব্যাক ট্যুর’ নামের রাজনৈতিক সফরের অংশ হিসেবে তরুণদের মধ্যে রক্ষণশীল মূল্যবোধ প্রচার করছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন অধ্যায় সূচিত করতে পারে।