শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯ শিল্প গ্রুপ মালিকের পাসপোর্ট স্থগিত হচ্ছে

শ্রমিকের বকেয়া মজুরি পরিশোধে সরকারের দেওয়া সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দেওয়ায় স্থগিত করা হচ্ছে ৯ শিল্প গ্রুপের মালিক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট। এ ছাড়া অভিযুক্ত কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে– সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস, রোয়ার ফ্যাশন, মাহমুদ জিন্স, স্টাইল ক্রাফট ও গোল্ডস্টার গার্মেন্ট।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এ-বিষয়ক সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের প্রতিনিধি এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পোশাক খাতের শ্রম অসন্তোষ নিরসনে গত দুই বছরে ১২ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ৭০৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা বিনা সুদে ঋণ দেয় সরকার। এর মধ্যে ৯ প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। মেয়াদ শেষেও তারা সরকারকে ঋণের টাকা ফেরত দেয়নি। বাকি তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই মাসে দুটির এবং ২০২৭ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা শেষ হবে।

অর্থ বিভাগের মাধ্যমে ঋণ দেওয়া হয়েছে ৬২৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, আর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ৮১ কোটি ১৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এ টাকা এক মাস, তিন মাস, ছয় মাস ও দুই বছরের মধ্যে পরিশোধের শর্ত ছিল। ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাগাদা দিচ্ছে সরকার। শুধু তা-ই নয়, বন্ধক থাকা সম্পত্তি বিক্রিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঋণের টাকা চেয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় তাগিদপত্র দিলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান জবাব দিচ্ছে না।

ঋণ আদায়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, এই ঋণের টাকা জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

৯ শিল্প গ্রুপ মালিকের পাসপোর্ট স্থগিত হচ্ছে

প্রকাশিত সময় : ১১:৩৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শ্রমিকের বকেয়া মজুরি পরিশোধে সরকারের দেওয়া সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দেওয়ায় স্থগিত করা হচ্ছে ৯ শিল্প গ্রুপের মালিক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট। এ ছাড়া অভিযুক্ত কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে– সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস, রোয়ার ফ্যাশন, মাহমুদ জিন্স, স্টাইল ক্রাফট ও গোল্ডস্টার গার্মেন্ট।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এ-বিষয়ক সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের প্রতিনিধি এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পোশাক খাতের শ্রম অসন্তোষ নিরসনে গত দুই বছরে ১২ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ৭০৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা বিনা সুদে ঋণ দেয় সরকার। এর মধ্যে ৯ প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। মেয়াদ শেষেও তারা সরকারকে ঋণের টাকা ফেরত দেয়নি। বাকি তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই মাসে দুটির এবং ২০২৭ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা শেষ হবে।

অর্থ বিভাগের মাধ্যমে ঋণ দেওয়া হয়েছে ৬২৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, আর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ৮১ কোটি ১৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এ টাকা এক মাস, তিন মাস, ছয় মাস ও দুই বছরের মধ্যে পরিশোধের শর্ত ছিল। ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাগাদা দিচ্ছে সরকার। শুধু তা-ই নয়, বন্ধক থাকা সম্পত্তি বিক্রিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঋণের টাকা চেয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় তাগিদপত্র দিলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান জবাব দিচ্ছে না।

ঋণ আদায়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, এই ঋণের টাকা জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে।