শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় দিনের মতো চলছে জাকসুর ভোট গণনা

তৃতীয় দিনের মতো চলছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা।

১২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনভর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কয়েকটি হলে দীর্ঘ লাইন থাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়।

পরে সেসব ব্যালট বাক্স হল থেকে সিনেট ভবনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে রাত ১০টার পর থেকে ভোট গণনা শুরু করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ভোটের ফলাফল ঘোষণার জন্য কয়েক দফা সময় পিছিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গণনা কখন শেষ হবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। দীর্ঘসময় ধরে চলা ভোট গণনা কার্যক্রমে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে এক শিক্ষিকা মারা গেছেন।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় সর্বশেষ খবর ২১টি হলের মধ্যে ১৪টির ভোট গণনা শেষ হয়েছে।

দীর্ঘ সময় পার হলেও ফল ঘোষণা না হওয়ায় হতাশ অনেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ভোটগ্রহণ হয়েছে ওএমআর ব্যালটে। ভোট গণনা করার কথা ডিজিটাল মেশিনে। সেই সিদ্ধান্ত বদলে হাতে গোনা হচ্ছে ব্যালট। জাকসু নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বদলকেই ভোটগণায় বিলম্বের কারণ হিসেবে দায়ী করছেন জাবি শিক্ষার্থীরা।

তবে ভোট গণনা পদ্ধতি পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্যান্য পক্ষের সাথে আলোচনা না করেই নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের নেতারা।

নির্বাচনের দিন (১১ সেপ্টেম্বর) পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী ও বাগছাস সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম দাবি করেন, ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন জামায়াতে ইসলামী-সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

তৃতীয় দিনের মতো চলছে জাকসুর ভোট গণনা

প্রকাশিত সময় : ১১:৩২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তৃতীয় দিনের মতো চলছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা।

১২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনভর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কয়েকটি হলে দীর্ঘ লাইন থাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়।

পরে সেসব ব্যালট বাক্স হল থেকে সিনেট ভবনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে রাত ১০টার পর থেকে ভোট গণনা শুরু করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ভোটের ফলাফল ঘোষণার জন্য কয়েক দফা সময় পিছিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গণনা কখন শেষ হবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। দীর্ঘসময় ধরে চলা ভোট গণনা কার্যক্রমে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে এক শিক্ষিকা মারা গেছেন।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় সর্বশেষ খবর ২১টি হলের মধ্যে ১৪টির ভোট গণনা শেষ হয়েছে।

দীর্ঘ সময় পার হলেও ফল ঘোষণা না হওয়ায় হতাশ অনেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ভোটগ্রহণ হয়েছে ওএমআর ব্যালটে। ভোট গণনা করার কথা ডিজিটাল মেশিনে। সেই সিদ্ধান্ত বদলে হাতে গোনা হচ্ছে ব্যালট। জাকসু নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বদলকেই ভোটগণায় বিলম্বের কারণ হিসেবে দায়ী করছেন জাবি শিক্ষার্থীরা।

তবে ভোট গণনা পদ্ধতি পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্যান্য পক্ষের সাথে আলোচনা না করেই নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের নেতারা।

নির্বাচনের দিন (১১ সেপ্টেম্বর) পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী ও বাগছাস সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম দাবি করেন, ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন জামায়াতে ইসলামী-সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে।