দেশে প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টন খাদ্য নষ্ট হয়। অথচ এখনো ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমন বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারিদা আখতার।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি), ডেনমার্ক দূতাবাস ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারিদা আখতার বলেন, কৃষকরা পরিশ্রম করে উৎপাদন করলেও সংরক্ষণ, অবকাঠামো ও ন্যায্য দামের অভাবে বিপুল খাদ্য অপচয় হয়। দুধ, ডিম, মাছসহ নিত্যপণ্যে পরিবহন ও কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থার দুর্বলতা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্যেও অবৈধ জাল ও অপচয়ের কারণে মজুদ হুমকিতে পড়ছে।
তিনি বলেন, শহরে রেস্টুরেন্ট ও স্বচ্ছল শ্রেণির মানুষের মধ্যে খাদ্য অপচয় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই প্রবণতা রোধে সচেতনতা ও নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দেন তিনি।
সরকার একা সব করতে পারবে না উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য ও পোলট্রি খাতে বেসরকারি খাতের অবদান রয়েছে। ভবিষ্যতেও সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপদ, টেকসই ও অপচয়মুক্ত উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে।