শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মতামত চেয়ে জাতীয় বেতন কমিশনের ৪টি প্রশ্নমালা উন্মুক্ত

কার্যকর ও ন্যায়সঙ্গত বেতন কাঠামোর সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় বেতন কমিশন বা পে কমিশন অনলাইনে মতামত গ্রহণ শুরু করেছে। এ উদ্দেশ্যে চারটি ক্যাটাগরিতে চারটি প্রশ্নমালা দিয়েছে কমিশন।

সরকারি চাকরিজীবী, সাধারণ নাগরিক, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির সদস্যরা সংশ্লিষ্ট প্রশ্নমালায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

আজ ১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রশ্নমালাগুলো কমিশনের ওয়েবসাইটে (paycommission2025.gov.bd) পাওয়া যাবে।

প্রাপ্ত সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে বেতন কমিশন, সরকারের নিকট একটি ন্যায়সংগত ও কার্যকরী বেতন কাঠামোর সুপারিশ প্রণয়ন করতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। পরামর্শদাতার ব্যক্তিগত তথ্য কেবল দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত হবে বলে উল্লেখ আছে ওয়েবসাইটে।

অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির কেউ কমিশনের সাঙ্গে সাক্ষাত করতে ইচ্ছুক হলে অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির জন্য নির্ধারিত প্রশ্নমালা পূরণ করে জানাতে পারবেন।

বিভাগ ও জেলা সিলেক্ট করে প্রবেশ করতে হবে প্রশ্নমালায়। সেখানে নাম (ইংরেজিতে), পেশা, বয়স, লিঙ্গ ও বাসস্থান সিলেক্ট করে ‘পরবর্তী ধাপ’ ট্যাবে ক্লিক করুন। এরপরই মিলবে প্রশ্নমালা। মূল প্রশ্নমালায় ৩২ প্রশ্ন রাখা হয়েছে। যেখানে, মূল বেতন কত হওয়া উচিত, বাসাভাড়া কেমন হওয়া প্রয়োজন, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় কত বছর পর পর বেতন বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন, কি কি বিবেচনায় বেতন বৃদ্ধি করা উচিত, বেতন বৃদ্ধি করলে সরকারি চাকরিজীবীদের দুর্নীতি কমবে কিনা- এমন প্রশ্ন রয়েছে।

হ্যাঁ, না উত্তর দিতে হবে আপনাকে।

বর্তমানে ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন–ভাতা পান। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ। দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। এতে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে নতুন পে কমিশন গঠন করা হয়।

চলতি বছরের ২৪ জুলাই সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে একটি পে-কমিশন গঠন করা হয়। পে-কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান।

জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে জাতীয় বেতন কমিশন সুপারিশ করবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মতামত চেয়ে জাতীয় বেতন কমিশনের ৪টি প্রশ্নমালা উন্মুক্ত

প্রকাশিত সময় : ০৩:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

কার্যকর ও ন্যায়সঙ্গত বেতন কাঠামোর সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় বেতন কমিশন বা পে কমিশন অনলাইনে মতামত গ্রহণ শুরু করেছে। এ উদ্দেশ্যে চারটি ক্যাটাগরিতে চারটি প্রশ্নমালা দিয়েছে কমিশন।

সরকারি চাকরিজীবী, সাধারণ নাগরিক, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির সদস্যরা সংশ্লিষ্ট প্রশ্নমালায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

আজ ১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রশ্নমালাগুলো কমিশনের ওয়েবসাইটে (paycommission2025.gov.bd) পাওয়া যাবে।

প্রাপ্ত সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে বেতন কমিশন, সরকারের নিকট একটি ন্যায়সংগত ও কার্যকরী বেতন কাঠামোর সুপারিশ প্রণয়ন করতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। পরামর্শদাতার ব্যক্তিগত তথ্য কেবল দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত হবে বলে উল্লেখ আছে ওয়েবসাইটে।

অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির কেউ কমিশনের সাঙ্গে সাক্ষাত করতে ইচ্ছুক হলে অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির জন্য নির্ধারিত প্রশ্নমালা পূরণ করে জানাতে পারবেন।

বিভাগ ও জেলা সিলেক্ট করে প্রবেশ করতে হবে প্রশ্নমালায়। সেখানে নাম (ইংরেজিতে), পেশা, বয়স, লিঙ্গ ও বাসস্থান সিলেক্ট করে ‘পরবর্তী ধাপ’ ট্যাবে ক্লিক করুন। এরপরই মিলবে প্রশ্নমালা। মূল প্রশ্নমালায় ৩২ প্রশ্ন রাখা হয়েছে। যেখানে, মূল বেতন কত হওয়া উচিত, বাসাভাড়া কেমন হওয়া প্রয়োজন, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় কত বছর পর পর বেতন বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন, কি কি বিবেচনায় বেতন বৃদ্ধি করা উচিত, বেতন বৃদ্ধি করলে সরকারি চাকরিজীবীদের দুর্নীতি কমবে কিনা- এমন প্রশ্ন রয়েছে।

হ্যাঁ, না উত্তর দিতে হবে আপনাকে।

বর্তমানে ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন–ভাতা পান। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ। দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। এতে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে নতুন পে কমিশন গঠন করা হয়।

চলতি বছরের ২৪ জুলাই সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে একটি পে-কমিশন গঠন করা হয়। পে-কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান।

জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে জাতীয় বেতন কমিশন সুপারিশ করবে।