পেশায় দন্ত চিকিৎসক নায়লা নাঈম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোলামেলা ছবি পোস্ট করে আলোচনায় ওঠে আসেন। শোবিজে তার কাজের সংখ্যা হাতেগোনা। গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে ২০০৯ সালে মডেল হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রানআউট’ সিনেমার একটি আইটেম গানে পারফর্ম করেছিলেন। এর বাইরে ২/৩টি মিউজিক ভিডিওতে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে। মিডিয়ায় কাজের সংখ্যা খুব কম হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকেখোলামেলাভাবে তুলে ধরে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করতেন। মাঝে অবশ্য কিছুটা বিরতি টেনেছিলেন। বেশ কিছুদিন পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। বলা যায়, অনেকটা আড়ালেই ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি আড়াল ভেঙে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের সরব হয়েছেন নায়লা নাঈম। ফিরেছেন তার স্বকীয় ধারায় সেই পুরনো ভঙ্গিমায়। আগের মতোই উত্তাপ ছড়াচ্ছেন তিনি। শনিবার বিকেলে নিজেকে একজন লেডি বাইকার দাবি করে ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন-
“বাইক চালানোর হাতে খড়িটা নব্বইয়ের দশকের শেষে ছোট খালার কাছ থেকে। খালা তখন এনজিওতে জব করতেন, সেই সুবাদে স্কুটার চালিয়ে তার অনেক পথ পাড়ি দিতে হতো। সাইকেল বাইক দাবা সবই ছোটবেলার কাছে শেখা। নানু বাড়ির বড় উঠোনে বড় মামার বাইক চালিয়ে প্রাকটিস আমার। এরপর দীর্ঘ বিরতি এবং গত পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত চালানো হয়। বড় মামা পলিটিক্যালি সেই সময় অনেক পাওয়ারফুল থাকার কারণে আমি বা ছোট খালা যারাই বাইক চালাতাম সাইকেল চালাতাম… পুরো গ্রামের মানুষ বাজে মন্তব্য করার সাহস পেত না।
আর এখন… কেউ ভাবে “ও মেয়ে বাইক চালাচ্ছে, এটাই অদ্ভুত”, কেউ ভাবে “ওই পোশাক পরে বাইক? কী কাণ্ড!” কিন্তু আমি হাসি দিয়ে বলি… আমি কারও নিয়ম মানতে জন্মাইনি, নিজের নিয়ম বানাই। বাইক আমার জন্য স্বাধীনতার প্রতীক, চুলে হাওয়া লাগা মানে আমার কাছে অদম্য শক্তি। শহর বদলাচ্ছে, আমিও বদলাচ্ছি।তবুও একটা জিনিস বদলায় না… আমার অ্যাটিটিউড।”
লেডি বাইকের রূপী নায়লা নাঈমের পোস্টের নিচে বইছে কমেন্টসের ঝড়। এর মধ্যে একজন লিখেছেন, এভাবে যদি কোনো লেডি বাইকার রাস্তায় বাইক নিয়ে বের হন, তাহলে সড়ক দূর্ঘটনা বেড়ে যাবে একশ গুণ।
এই মন্তব্যকে যথার্থ বলে সমর্থন দিয়েছেন অনেকেই।