শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইসেস্কো মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের (আইসেস্কো) মহাপরিচালক ড. সালিম এম. আল মালিক । সোমবার (৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এই বৈঠকে ড. আল মালিক বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ও তাঁর বিশ্বব্যাপী প্রভাববিস্তারকারী উদ্যোগগুলোর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।

এসময় তিনি বলেন,‘আমি যখন চিকিৎসাশাস্ত্রের ছাত্র, স্নাতক শেষের পথে, তখনই প্রথম আপনার ও গ্রামীণ ব্যাংকের কথা শুনেছিলাম। আপনার থ্রি জিরো তত্ত্ব তখন ব্যাংকিং থেকে খেলাধুলা, এমনকি পরিবেশ বৈঠক পর্যন্ত সর্বত্র আলোচিত ছিল। সেটি ছিল সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।’

আইসেস্কোর মহাপরিচালক ড. ইউনূসের থ্রি জিরো থিওরি-শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নির্গমনকে আইসেস্কোর যুব সম্প্রদায়, শিক্ষা ও পরিবেশগত উদ্যোগের কৌশলগত কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি চেয়েছেন।

আইসেস্কোর বর্তমান কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা খাদ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে দেশগুলোকে সহায়তা করি। ব্রুনাই, আলজেরিয়া এবং নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো ইতোমধ্যে উদ্যোক্তা উদ্যোগ থেকে উপকৃত হয়েছে যা আমরা সামাজিক ব্যবসায়ের মডেলে রূপান্তর করতে সহায়তা করেছি।’

জবাবে ড. ইউনূস শিক্ষা ও টেকসই ক্ষেত্রে আইসেস্কোর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উদ্ভাবনী সামাজিক ব্যবসায়িক সমাধানের প্রসারে ভবিষ্যতের সহযোগিতার সম্ভাবনাকে স্বাগত জানান।

এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইসেস্কো মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত সময় : ১১:১৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের (আইসেস্কো) মহাপরিচালক ড. সালিম এম. আল মালিক । সোমবার (৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এই বৈঠকে ড. আল মালিক বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ও তাঁর বিশ্বব্যাপী প্রভাববিস্তারকারী উদ্যোগগুলোর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।

এসময় তিনি বলেন,‘আমি যখন চিকিৎসাশাস্ত্রের ছাত্র, স্নাতক শেষের পথে, তখনই প্রথম আপনার ও গ্রামীণ ব্যাংকের কথা শুনেছিলাম। আপনার থ্রি জিরো তত্ত্ব তখন ব্যাংকিং থেকে খেলাধুলা, এমনকি পরিবেশ বৈঠক পর্যন্ত সর্বত্র আলোচিত ছিল। সেটি ছিল সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।’

আইসেস্কোর মহাপরিচালক ড. ইউনূসের থ্রি জিরো থিওরি-শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নির্গমনকে আইসেস্কোর যুব সম্প্রদায়, শিক্ষা ও পরিবেশগত উদ্যোগের কৌশলগত কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি চেয়েছেন।

আইসেস্কোর বর্তমান কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা খাদ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে দেশগুলোকে সহায়তা করি। ব্রুনাই, আলজেরিয়া এবং নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো ইতোমধ্যে উদ্যোক্তা উদ্যোগ থেকে উপকৃত হয়েছে যা আমরা সামাজিক ব্যবসায়ের মডেলে রূপান্তর করতে সহায়তা করেছি।’

জবাবে ড. ইউনূস শিক্ষা ও টেকসই ক্ষেত্রে আইসেস্কোর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উদ্ভাবনী সামাজিক ব্যবসায়িক সমাধানের প্রসারে ভবিষ্যতের সহযোগিতার সম্ভাবনাকে স্বাগত জানান।

এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার উপস্থিত ছিলেন।