কিছু দিন আগে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। বর তানজিম তৈয়বের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় শ্রীলঙ্কায় গিয়েছেন এই অভিনেত্রী। আপাতত স্বামীর সঙ্গে সময়টা চুটিয়ে উপভোগ করছেন ফারিয়া। আনন্দে কাটানো মুহূর্ত ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত ছবি পোস্ট করছেন ‘দেবী’খ্যাত এই তারকা।
একটি ছবিতে দেখা যায়, রাতের শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে শবনম ফারিয়া। তার চোখে-মুখে আনন্দের ঢেউ। পরনে শর্টস, গায়ে টি-শার্ট। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছবিটিতে রিঅ্যাক্ট পড়েছে ৫৬ হাজার, শেয়ার হয়েছে ২৪৬টি। মন্তব্য পড়েছে ৫ হাজার ৬০০টি। এসব মন্তব্যের অধিকাংশই ‘নোংরা’ ভাষায় করা হয়েছে; যা নিয়ে চলছে আলোচনা।
কামরুল ইসলাম নামে একজন কাটাক্ষ করে লেখেন, “বুঝতে হবে, হাজী পরিবারের মেয়ে।” আরিফুল ইসলাম লেখেন, “বয়স হওয়ার সাথে সাথে মানুষের মন-মানসিকতার পরিবর্তন হয়। নৈতিকতা পরিবর্তন হয়, আদর্শ পরিবর্তন হয়। আপনার তো দেখি সবকিছু তার উল্টা করছেন আপু।” জারা তাবাসসুম লেখেন, “আন্টি তার আসল রূপে ফিরেছেন।” সাফি মাসুক লেখেন, “মসজিদে বিয়ে করে, হানিমুনে গিয়ে হাফ প্যান্ট পরে বিদেশের মাটিতে ঘুরার যে ব্যাপারটা।”
এ ছবিকে কেন্দ্র নোংরা মন্তব্যের শিকার ফারিয়া
অন্য একজন ফারিয়ার কড়া সমালোচনা করে লেখেন, “আপনারা অভিনেত্রী বলে যা পরেন তাই সাপোর্ট করব, আপনি নিজেই দেখেন কেমন লাগে। আরে আমার ছেলের ৬ বছর, সেও তো এই হ্যাফ প্যান্ট পরতে চায় না, গরমের দিনেও বাসায় পরাতে পারি না, বাসার থেকে নিচে নামলেও জিন্স প্যান্ট, আর যদিও জোর করে বাসায় পরাই তাতে হাঁটুর ওপরে যাতে না ওঠে তাই টানতে টানতে ১ মাসেই ছিড়ে ফেলে। আর আপনি আমগো চাঁদপুর মতলবের মাইয়া অইয়া এইডা কি পরলেন, আল্লাহতায়ালা আপনাকে হিদায়ত দেক।” ফয়সাল আহমেদ পাপ্পু লেখেন, “অসাধারণ। দেশের বাইরে গেলে হাফ প্যান্ট আর দেশে থাকলে সত্যবাদী সাহসী। আর আমরা কিছু লিখলেই খারাপ।”
মধুচন্দ্রিমায় ফারিয়ার একখণ্ড আনন্দ
সাইদুর রহমান লেখেন, “দেশি মাইয়া বিদেশে গেলেই কাপড় ছোট হয়ে যায়।” ফারিয়ার বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে কটাক্ষ করে জাহিদুল লেখেন, “বিয়ের নামে মক্কেল ধরবে একটা একটা, তারপর শুধু বিদেশ ট্যুর, এরপর ডিভোর্স দিয়ে টাকা। ব্যাবসা ভালোই চলে।” আমিজম নামে একজন লেখেন, “বাংলাদেশে থাকলে বোরকা পরে, বাহিরে গেলেই হাপ পেন্ট পরে।” তাছাড়া অসংখ্য মন্তব্য রয়েছে, যা প্রকাশের অযোগ্য। তবে নেটিজেনদের অনেকে ফারিয়ার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেও মন্তব্য করেছেন।
২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে পরিচয় হয় শবনম ফারিয়ার। এরপর দুজনের মাঝে তৈরি হয় ভালো বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সীমানা পেরিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদল করেন তারা। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সংসার ভাঙার ঘোষণা দেন ফারিয়া। এরপর অপু বিয়ে করলেও একা ছিলেন ফারিয়া।
শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়াচ্ছেন ফারিয়া
গত ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন শবনম ফারিয়া। সেদিন বাদ আসর রাজধানীর মাদানি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মসজিদ আল মুস্তাফায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই অভিনেত্রী। এসময় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তার বর তানজিম তৈয়ব বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। চলতি বছরের শেষে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন ফারিয়া।