বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তালেবান-পাক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ, সংযমের আহ্বান প্রতিবেশিদের

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে তালেবান ও পাক বাহিনীর মধ্যে তীব্র গোলাগুলি হয়েছে। এ অবস্থায় উভয় গ্রুপকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে কাতার, ইরান, সৌদি আরবের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে সীমান্তে ভারী অস্ত্র নিয়ে পাক সেনাদের ওপর হামলা চালায় আফগানিস্তানের সীমান্ত রক্ষীরা। ওই সময় পাক সেনারাও পাল্টা হামলা চালায়।

দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। সেখানে সন্ত্রাসী সংগঠন টিটিপির প্রধান নেতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসলামাবাদ। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়

আফগান সেনাবাহিনী জানায়, ওই বিমান হামলার জবাবে তাদের সেনারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানি বাহিনীর বিমান হামলার প্রতিশোধে পূর্বাঞ্চলে তালেবান সীমান্তরক্ষীরা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

এদিকে সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আফগান সেনাদের অসংখ্য গাড়ি পাকিস্তান সীমান্তের দিকে যাচ্ছে।

এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১০ অক্টোবর আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান তাদের রাজধানী কাবুলের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া মার্ঘা অঞ্চলের পাকতিকাতে একটি মার্কেটে বোমাবর্ষণ করেছে।

এটিকে ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন, সহিংস ও নিন্দনীয়’ কাজ হিসেবে অভিহিত করেছে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরবর্তীতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর আসতে থাকে সন্ত্রাসী সংগঠন পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) প্রধান নেতা নূর ওয়ালী মেসুদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

তবে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ তথ্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, টিটিপির প্রধান কাবুলে উপস্থিত ছিলেন না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

তালেবান-পাক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ, সংযমের আহ্বান প্রতিবেশিদের

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৭:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে তালেবান ও পাক বাহিনীর মধ্যে তীব্র গোলাগুলি হয়েছে। এ অবস্থায় উভয় গ্রুপকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে কাতার, ইরান, সৌদি আরবের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে সীমান্তে ভারী অস্ত্র নিয়ে পাক সেনাদের ওপর হামলা চালায় আফগানিস্তানের সীমান্ত রক্ষীরা। ওই সময় পাক সেনারাও পাল্টা হামলা চালায়।

দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। সেখানে সন্ত্রাসী সংগঠন টিটিপির প্রধান নেতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসলামাবাদ। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়

আফগান সেনাবাহিনী জানায়, ওই বিমান হামলার জবাবে তাদের সেনারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানি বাহিনীর বিমান হামলার প্রতিশোধে পূর্বাঞ্চলে তালেবান সীমান্তরক্ষীরা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

এদিকে সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আফগান সেনাদের অসংখ্য গাড়ি পাকিস্তান সীমান্তের দিকে যাচ্ছে।

এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১০ অক্টোবর আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান তাদের রাজধানী কাবুলের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া মার্ঘা অঞ্চলের পাকতিকাতে একটি মার্কেটে বোমাবর্ষণ করেছে।

এটিকে ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন, সহিংস ও নিন্দনীয়’ কাজ হিসেবে অভিহিত করেছে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরবর্তীতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর আসতে থাকে সন্ত্রাসী সংগঠন পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) প্রধান নেতা নূর ওয়ালী মেসুদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

তবে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ তথ্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, টিটিপির প্রধান কাবুলে উপস্থিত ছিলেন না।