শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুদিন অনশনের পর তরুণের সঙ্গে বিয়ে সেই নারীর

ঢাকার ধামরাইয়ে দুইদিন অনশন করার পর অবশেষে ১৯ বছরের এক তরুণের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে সেই এক সন্তানের জননীর।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে বালিয়া ইউনিয়নের বাইসাইল গ্রামে ঘটা করে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের কাবিন ধরা হয়েছে অর্ধকোটি টাকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর সকালে আইরিন আক্তার নামের এক নারী পোশাক শ্রমিক প্রেমিক সজীব হোসেনের (১৯) বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। তিনিও পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তবে বয়সে অনেক ছোট হওয়ায় সজীবের পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়নি এবং ওই নারীকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে ব্যর্থ হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে আইরিন আক্তার গলায় দড়ি দেওয়ার হুমকি দিলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।

অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার রাতে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে কাজী ডেকে অর্ধকোটি টাকার কাবিনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর চলে আনুষ্ঠানিক বিয়ের আয়োজন।

বিয়ের পর আইরিন আক্তার বলেন, আমাদের প্রেমের জয় হয়েছে। সিরি-ফরহাদ, লাইলি-মজনু বা চণ্ডীদাস-রজকিনীর মতো আমাদের প্রেমও অমর হয়ে থাকবে। সজীবকে পেয়ে আমি যেন হাতে স্বর্গ পেয়েছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেন আমরা সুখে থাকি।

অন্যদিকে কিশোর সজীব হোসেন বলেন, আমি লোভে পড়ে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমে জড়াই। এখন মনে হচ্ছে ফাঁদে পড়ে গেছি। বিয়ে না করে উপায় ছিল না, তাই বাধ্য হয়েই বিয়ে করেছি। ভাগ্যের লিখন এড়ানো যায় না।

এই নবীন-প্রবীণের অপ্রত্যাশিত বিয়ে নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দুদিন অনশনের পর তরুণের সঙ্গে বিয়ে সেই নারীর

প্রকাশিত সময় : ০৪:০১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকার ধামরাইয়ে দুইদিন অনশন করার পর অবশেষে ১৯ বছরের এক তরুণের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে সেই এক সন্তানের জননীর।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে বালিয়া ইউনিয়নের বাইসাইল গ্রামে ঘটা করে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের কাবিন ধরা হয়েছে অর্ধকোটি টাকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর সকালে আইরিন আক্তার নামের এক নারী পোশাক শ্রমিক প্রেমিক সজীব হোসেনের (১৯) বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। তিনিও পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তবে বয়সে অনেক ছোট হওয়ায় সজীবের পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়নি এবং ওই নারীকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে ব্যর্থ হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে আইরিন আক্তার গলায় দড়ি দেওয়ার হুমকি দিলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।

অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার রাতে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে কাজী ডেকে অর্ধকোটি টাকার কাবিনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর চলে আনুষ্ঠানিক বিয়ের আয়োজন।

বিয়ের পর আইরিন আক্তার বলেন, আমাদের প্রেমের জয় হয়েছে। সিরি-ফরহাদ, লাইলি-মজনু বা চণ্ডীদাস-রজকিনীর মতো আমাদের প্রেমও অমর হয়ে থাকবে। সজীবকে পেয়ে আমি যেন হাতে স্বর্গ পেয়েছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেন আমরা সুখে থাকি।

অন্যদিকে কিশোর সজীব হোসেন বলেন, আমি লোভে পড়ে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমে জড়াই। এখন মনে হচ্ছে ফাঁদে পড়ে গেছি। বিয়ে না করে উপায় ছিল না, তাই বাধ্য হয়েই বিয়ে করেছি। ভাগ্যের লিখন এড়ানো যায় না।

এই নবীন-প্রবীণের অপ্রত্যাশিত বিয়ে নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।