শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখার দাবি বিএনপির

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আগামী বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠান অর্থবহ নিরপেক্ষ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য এই মুহূর্ত থেকে যেটা প্রয়োজন হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন কেয়ারটেকার গভমেন্টের আদলে নিতে হবে। অর্থাৎ কেয়ারটেকার গভমেন্টের বলতে যা বুঝায়, একটা তত্ত্বাবধয়ক সরকার, সেই ভূমিকায় তাদেরকে যেতে হবে। সেজন্য প্রথমেই যে বিষয়টির প্রয়োজন হবে তা হচ্ছে সরকার, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করতে হবে।”

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সোয়া ৭টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, “সচিবালয়ে চিহ্নিত ফ্যাসিস্টের দোসরদের সরিয়ে ফেলতে হবে। বিশেষ করে, জেলা প্রশাসনেও নিরপেক্ষ লোক দিতে হবে। পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে নতুন নিয়োগ বা পদোন্নতি দিতে হবে একদম নিরপেক্ষ অবস্থা থেকে।”

তিনি বলেন, “সরকার প্রধানকে আমরা আমাদের উদ্বিগ্ন বিষয়গুলো বলেছি। এবং সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্যে সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাকে অপসারণ করার জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি।”

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সরকার, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখার দাবি বিএনপির

প্রকাশিত সময় : ০৮:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আগামী বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠান অর্থবহ নিরপেক্ষ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য এই মুহূর্ত থেকে যেটা প্রয়োজন হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন কেয়ারটেকার গভমেন্টের আদলে নিতে হবে। অর্থাৎ কেয়ারটেকার গভমেন্টের বলতে যা বুঝায়, একটা তত্ত্বাবধয়ক সরকার, সেই ভূমিকায় তাদেরকে যেতে হবে। সেজন্য প্রথমেই যে বিষয়টির প্রয়োজন হবে তা হচ্ছে সরকার, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করতে হবে।”

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সোয়া ৭টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, “সচিবালয়ে চিহ্নিত ফ্যাসিস্টের দোসরদের সরিয়ে ফেলতে হবে। বিশেষ করে, জেলা প্রশাসনেও নিরপেক্ষ লোক দিতে হবে। পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে নতুন নিয়োগ বা পদোন্নতি দিতে হবে একদম নিরপেক্ষ অবস্থা থেকে।”

তিনি বলেন, “সরকার প্রধানকে আমরা আমাদের উদ্বিগ্ন বিষয়গুলো বলেছি। এবং সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্যে সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাকে অপসারণ করার জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি।”

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।