বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধতন অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির করা হলে তাদের গ্রে*ফ*তা*র দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে আদালত আগামি ২০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৭টার পরপরই বাংলাদেশ জেলের সবুজ রঙের একটি প্রিজন ভ্যানে করে তাদের রাজধানীর পুরাতন হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাদের আনা হয়। অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা সাধারণ পোশাকে ছিলেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে গ্রে*ফ*তা*র দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
যে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত আছেন। একজন এখন অবসরকালীন ছুটিতে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম, নির্যাতন ও গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি।
তাঁদের মধ্যে অভিযুক্ত যে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে হাজিরের পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।
এছাড়াও ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকীকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 




















