মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিসা কামাল এবং তার প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিআইডি জানিয়েছে, প্রতারণা করে প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২)/৪(৪) ধারায় মামলা করা হয়েছে। নাফিসা কামাল ও তার জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল এবং সহযোগী সিন্ডিকেট সদস্য হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (স্বত্বাধিকারী: ইরভিং এন্টারপ্রাইজ) রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী (স্বত্বাধিকারী: আমান এন্টারপ্রাইজ) জসিম উদ্দিন আহমেদ (স্বত্বাধিকারী: আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড), মো. আকতার হোসাইন (স্বত্বাধিকারী: আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি) শিউলী বেগম (স্বত্বাধিকারী: মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হোল্ডিংস (প্রা.) লিমিটেড), কাউসার মৃধা (স্বত্বাধিকারী: মৃধা ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন) ও মোহাম্মদ বশিরের (স্বত্বাধিকারী: রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল) বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে মোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সিআইডি অনুসন্ধানে আরো জানতে পেরেছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ১১১ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠায়। সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার বিপরীতে অবৈধভাবে জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। সরকারিভাবে পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ পরীক্ষা ফি, মেডিকেল ফি ও পোশাক সংক্রান্ত ফি’র বাইরে প্রত্যেক কর্মীর কাছ থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করার তথ্য পাওয়া গেছে।
সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিসা কামাল ও তার জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ অপরাপর অভিযুক্তরা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে জনপ্রতি অতিরিক্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা এবং মোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেছে সিআইডি।
বর্তমানে এ মামলা তদন্ত করছে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান করা হচ্ছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার জন্য নিবিড় তদন্ত ও সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।

ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























