বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমের ফাঁদে ব্যবসায়ীকে হ‘ত্যা, মূল উদ্দেশ্য টাকা আদায়

রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল তার বন্ধু জরেজুল ইসলাম ও তার প্রেমিকা শামীমা আক্তার। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে ১০ লাখ টাকা ব্ল্যাকমেইল করে আদায় করা।

শনিবার কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন জানান, এক মাস আগে শামীমা আশরাফুলের সঙ্গে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। পরবর্তীতে গত ১১ নভেম্বর আশরাফুলকে ঢাকায় নিয়ে এসে, শামীমা ও জরেজ আশরাফুলকে অচেতন করে হাতুড়ি দিয়ে হত্যার পরে লাশ ২৬ টুকরা করে দুইটি ড্রামে ভরে ফেলে।

নিহতের লাশ ১৩ নভেম্বর হাইকোর্ট সংলগ্ন পানির পাম্পের কাছে দুটি নীল ড্রামে উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দড়ি, স্কচটেপ, পায়জামা-পাঞ্জাবি, হাফ প্যান্ট ও একটি গেঞ্জি শামীমার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন বলেন, “জরেজ শামীমাকে বলেছিল, আশরাফুলের সাথে অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করা হবে। শামীমা তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ভিডিও ধারণের ব্যবস্থা করেছিল।”

বর্তমানে মূল আসামি জরেজুল ইসলামকে ডিবি গ্রেপ্তার করেছে। র‌্যাব জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পূর্ব শত্রুতা থাকলেও মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থ উপার্জন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

প্রেমের ফাঁদে ব্যবসায়ীকে হ‘ত্যা, মূল উদ্দেশ্য টাকা আদায়

প্রকাশিত সময় : ০৪:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল তার বন্ধু জরেজুল ইসলাম ও তার প্রেমিকা শামীমা আক্তার। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে ১০ লাখ টাকা ব্ল্যাকমেইল করে আদায় করা।

শনিবার কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন জানান, এক মাস আগে শামীমা আশরাফুলের সঙ্গে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। পরবর্তীতে গত ১১ নভেম্বর আশরাফুলকে ঢাকায় নিয়ে এসে, শামীমা ও জরেজ আশরাফুলকে অচেতন করে হাতুড়ি দিয়ে হত্যার পরে লাশ ২৬ টুকরা করে দুইটি ড্রামে ভরে ফেলে।

নিহতের লাশ ১৩ নভেম্বর হাইকোর্ট সংলগ্ন পানির পাম্পের কাছে দুটি নীল ড্রামে উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দড়ি, স্কচটেপ, পায়জামা-পাঞ্জাবি, হাফ প্যান্ট ও একটি গেঞ্জি শামীমার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন বলেন, “জরেজ শামীমাকে বলেছিল, আশরাফুলের সাথে অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করা হবে। শামীমা তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ভিডিও ধারণের ব্যবস্থা করেছিল।”

বর্তমানে মূল আসামি জরেজুল ইসলামকে ডিবি গ্রেপ্তার করেছে। র‌্যাব জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পূর্ব শত্রুতা থাকলেও মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থ উপার্জন।