মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিবিয়া উপকূলে ২৬ বাংলদেশিসহ নৌকাডুবি, ৪ জনের মৃত্যু

লিবিয়া উপকূলে অভিবাসী বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ডুবে যাওয়া প্রথম নৌকাটিতে বাংলাদেশি ২৬ অভিবাসী ছিলেন।

স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, প্রথম নৌকাটিতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৬ নাগরিক। তাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় নৌকাটিতে ৬৯ অভিবাসী ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন মিশরীয় ও কয়েকজন সুদানী নাগরিক ছিলেন। ওই নৌকায় আট শিশুও ছিল। তবে তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার পূর্বে আল-খুমস উপকূলের কাছে এই দুটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

এক বিবৃতিতে রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, কোস্টগার্ড ও আল-খুমস বন্দর নিরাপত্তা সংস্থা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। শহরের পাবলিক প্রসিকিউশনের নির্দেশে মরদেহগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে।

গত বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়ান উপকূলের উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি অফশোর সুবিধা আল বুরি তেলক্ষেত্রের কাছে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর কমপক্ষে ৪২ জন অভিবাসী নিখোঁজ হয়েছেন। একইসঙ্গে নৌকায় থাকা সবার মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত অক্টোবরের মাঝামাঝিতে ত্রিপোলির পশ্চিম উপকূলে ৬১ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে আইওএম জানিয়েছে, লিবিয়ার উপকূলে ৭৫ জন সুদানী শরণার্থী বহনকারী একটি জাহাজে আগুন লাগার পর কমপক্ষে ৫০ জন মারা গেছেন।

গত সপ্তাহে জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের এক বৈঠকে যুক্তরাজ্য, স্পেন, নরওয়ে ও সিয়েরা লিওনসহ বেশ কয়েকটি দেশ লিবিয়াকে অভিবাসী ও শরণার্থীদের আটক কেন্দগুলো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

মূলত অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় রুট হচ্ছে লিবিয়া। ২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটি ইউরোপগামী অভিবাসীদের ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়। বর্তমানে সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি অভিবাসী লিবিয়ায় অবস্থান করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

লিবিয়া উপকূলে ২৬ বাংলদেশিসহ নৌকাডুবি, ৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত সময় : ০৪:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

লিবিয়া উপকূলে অভিবাসী বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ডুবে যাওয়া প্রথম নৌকাটিতে বাংলাদেশি ২৬ অভিবাসী ছিলেন।

স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, প্রথম নৌকাটিতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৬ নাগরিক। তাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় নৌকাটিতে ৬৯ অভিবাসী ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন মিশরীয় ও কয়েকজন সুদানী নাগরিক ছিলেন। ওই নৌকায় আট শিশুও ছিল। তবে তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার পূর্বে আল-খুমস উপকূলের কাছে এই দুটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

এক বিবৃতিতে রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, কোস্টগার্ড ও আল-খুমস বন্দর নিরাপত্তা সংস্থা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। শহরের পাবলিক প্রসিকিউশনের নির্দেশে মরদেহগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে।

গত বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়ান উপকূলের উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি অফশোর সুবিধা আল বুরি তেলক্ষেত্রের কাছে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর কমপক্ষে ৪২ জন অভিবাসী নিখোঁজ হয়েছেন। একইসঙ্গে নৌকায় থাকা সবার মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত অক্টোবরের মাঝামাঝিতে ত্রিপোলির পশ্চিম উপকূলে ৬১ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে আইওএম জানিয়েছে, লিবিয়ার উপকূলে ৭৫ জন সুদানী শরণার্থী বহনকারী একটি জাহাজে আগুন লাগার পর কমপক্ষে ৫০ জন মারা গেছেন।

গত সপ্তাহে জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের এক বৈঠকে যুক্তরাজ্য, স্পেন, নরওয়ে ও সিয়েরা লিওনসহ বেশ কয়েকটি দেশ লিবিয়াকে অভিবাসী ও শরণার্থীদের আটক কেন্দগুলো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

মূলত অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় রুট হচ্ছে লিবিয়া। ২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটি ইউরোপগামী অভিবাসীদের ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়। বর্তমানে সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি অভিবাসী লিবিয়ায় অবস্থান করছে।