সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরএমপি পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভিডিও পাঠানোর অভিযোগ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান (বিপি-৭২৯৮০৩১৭১৮)–এর বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগনামা জারি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-১ শাখা থেকে ২৪ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে জারি করা স্মারক অনুযায়ী জানা যায়, অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে ট্যুরিস্ট পুলিশ, ঢাকা রিজিয়নে দায়িত্ব পালনকালে তিনি একই ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানাকে (বিপি-৮১১২১৪৭৬২৭) তার ভেরিফাইড ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে অশ্লীল ও আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ পাঠান।

সিআইডির ফরেনসিক প্রতিবেদনে দেখা যায়— ভিডিও পাঠানোর পর তিনি নিজ ডিভাইস থেকে সংশ্লিষ্ট তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে মুছে ফেলেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগনামায় উল্লেখ করেছে—
একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে একজন জুনিয়র নারী সহকর্মীকে অশ্লীল ভিডিও পাঠানো “চরম অপেশাদার, অকর্মকর্তাসুলভ এবং নৈতিকতাবর্জিত” আচরণ, যা পুলিশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে।

এটি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮–এর ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ হিসেবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিধিমালা অনুযায়ী, কেন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো দণ্ড দেওয়া হবে না, তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যক্তিগত শুনানি চাইলে তা–ও লিখিতভাবে জানাতে পারবেন।

অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী যথাযথভাবে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছেও অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আরএমপি পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভিডিও পাঠানোর অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ১০:৩২:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান (বিপি-৭২৯৮০৩১৭১৮)–এর বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগনামা জারি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-১ শাখা থেকে ২৪ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে জারি করা স্মারক অনুযায়ী জানা যায়, অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে ট্যুরিস্ট পুলিশ, ঢাকা রিজিয়নে দায়িত্ব পালনকালে তিনি একই ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানাকে (বিপি-৮১১২১৪৭৬২৭) তার ভেরিফাইড ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে অশ্লীল ও আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ পাঠান।

সিআইডির ফরেনসিক প্রতিবেদনে দেখা যায়— ভিডিও পাঠানোর পর তিনি নিজ ডিভাইস থেকে সংশ্লিষ্ট তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে মুছে ফেলেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগনামায় উল্লেখ করেছে—
একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে একজন জুনিয়র নারী সহকর্মীকে অশ্লীল ভিডিও পাঠানো “চরম অপেশাদার, অকর্মকর্তাসুলভ এবং নৈতিকতাবর্জিত” আচরণ, যা পুলিশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে।

এটি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮–এর ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ হিসেবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিধিমালা অনুযায়ী, কেন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো দণ্ড দেওয়া হবে না, তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যক্তিগত শুনানি চাইলে তা–ও লিখিতভাবে জানাতে পারবেন।

অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী যথাযথভাবে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছেও অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।