সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা

বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি)। যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার মার্কিন সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে নোয়েম বলেন, “আমি কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করব না, তবে (ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার) তালিকায় থাকা দেশগুলোর সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রেসিডেন্ট নিজে নিয়মিত এই দেশগুলোর অবস্থা পর্যালোচনা করছেন।”

নোয়েমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যেসব দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর সংখ্যা ট্রাম্প প্রশাসন ৩২-এ উন্নীত করবে কি না। তার জবাবে এই উত্তর দিয়েছেন নোয়েম।

সাক্ষাৎকারে নোয়েম অবশ্য কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, “যদি কোনো দেশ একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে না পারে, যদি কোনো দেশ আমাদের কিংবা অন্য কারো সহায়তা ব্যতীত টিকে থাকতে না পারে— সেক্ষেত্রে সেসব দেশের নাগরিকদের কী কারণে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেবো? আমাদের নাগরিকরাই বা কেন সেসব দেশে যাবে?”

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এক আফগান শরণার্থীর গুলিতে নিহত হন যুক্তরাষ্ট্রের আধাসামরিক বাহিনী ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্য। এই ঘটনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এই ১৯টি দেশ হলো আফগানিস্তান, মিয়ানমার, বুরুন্ডি, শাদ, কিউবা, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লাওস, লিবিয়া, সিয়েরা লিওন, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত সময় : ১১:১৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি)। যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার মার্কিন সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে নোয়েম বলেন, “আমি কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করব না, তবে (ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার) তালিকায় থাকা দেশগুলোর সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রেসিডেন্ট নিজে নিয়মিত এই দেশগুলোর অবস্থা পর্যালোচনা করছেন।”

নোয়েমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যেসব দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর সংখ্যা ট্রাম্প প্রশাসন ৩২-এ উন্নীত করবে কি না। তার জবাবে এই উত্তর দিয়েছেন নোয়েম।

সাক্ষাৎকারে নোয়েম অবশ্য কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, “যদি কোনো দেশ একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে না পারে, যদি কোনো দেশ আমাদের কিংবা অন্য কারো সহায়তা ব্যতীত টিকে থাকতে না পারে— সেক্ষেত্রে সেসব দেশের নাগরিকদের কী কারণে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেবো? আমাদের নাগরিকরাই বা কেন সেসব দেশে যাবে?”

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এক আফগান শরণার্থীর গুলিতে নিহত হন যুক্তরাষ্ট্রের আধাসামরিক বাহিনী ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্য। এই ঘটনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এই ১৯টি দেশ হলো আফগানিস্তান, মিয়ানমার, বুরুন্ডি, শাদ, কিউবা, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লাওস, লিবিয়া, সিয়েরা লিওন, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন।