সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পেন্টাগন প্রধান কি পদত্যাগ করবেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ তাঁর কার্যকালের সবচেয়ে গুরুতর সংকটের মুখে পড়েছেন। ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ও সামরিক গোপন তথ্য বেহাত করার অভিযোগ তাঁকে গ্রাস করেছে। ডেমোক্র্যাট ও ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান- উভয় দলের আইনপ্রণেতারা তাঁর পদত্যাগের দাবি জানালেও হেগসেথ অনড় আছেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন ধরে রেখেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

দুই ধরনের সংকট ফক্স নিউজের সাবেক এই ব্যক্তিত্বকে বিপজ্জনক বেপরোয়া আচরণের জন্য অভিযুক্ত করেছে। সেপ্টেম্বরে নৌকা হামলায় বেঁচে যাওয়া লোকদের ইচ্ছাকৃতভাবে ‘ডাবল-ট্যাপ’ হামলায় হত্যা করার খবর প্রকাশের পর ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা তাঁর অপসারণের দাবি আবার জোরালো করেছেন।

আবার বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি তদন্তে উঠে এসেছে, হেগসেথ ইয়েমেনে বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ‘সিগন্যাল’ মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে স্পর্শকাতর সামরিক বিবরণ শেয়ার করে পেন্টাগনের নীতি লঙ্ঘন করেছেন।

সাম্প্রতিক বিতর্কের কেন্দ্রে আছে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্যারিবীয় অভিযান, যেখানে সেপ্টেম্বর থেকে সন্দেহভাজন মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে ২২টি হামলায় কমপক্ষে ৮৭ জন নিহত হয়েছে। যদিও ট্রাম্প এই অভিযানকে ফেন্টানিল পাচার মোকাবিলার জন্য অপরিহার্য বলে দাবি করেন, তবে সমালোচকরা বলছেন এটি বাস্তবতাবিবর্জিত। ২ সেপ্টেম্বরের হামলায় যারা বেঁচেছিলেন, তাঁদের লক্ষ্য করে পরবর্তী প্রাণঘাতী আঘাতের নির্দেশ দেওয়ার পর অভিযানের বৈধতা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন উঠেছে।

হেগসেথ প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করেন, কিন্তু নিজেকে ‘যুদ্ধের ধোঁয়াশা’র মধ্যে থাকার কথা বলে দায় এড়ান। সিনেটর প্যাটি মারে তাঁকে ‘অযোগ্য ও বেপরোয়া’ বলে অভিহিত করে অবিলম্বে তাঁকে পদচ্যুতির দাবি জানিয়েছেন।

রিপাবলিকান সিনেটর র?্যান্ড পলও হেগসেথের অসততা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এসব সত্ত্বেও, ট্রাম্প প্রশাসন হেগসেথের প্রতি ‘সর্বোচ্চ আস্থা’ বজায় রেখেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

পেন্টাগন প্রধান কি পদত্যাগ করবেন

প্রকাশিত সময় : ১১:৫৯:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ তাঁর কার্যকালের সবচেয়ে গুরুতর সংকটের মুখে পড়েছেন। ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ও সামরিক গোপন তথ্য বেহাত করার অভিযোগ তাঁকে গ্রাস করেছে। ডেমোক্র্যাট ও ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান- উভয় দলের আইনপ্রণেতারা তাঁর পদত্যাগের দাবি জানালেও হেগসেথ অনড় আছেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন ধরে রেখেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

দুই ধরনের সংকট ফক্স নিউজের সাবেক এই ব্যক্তিত্বকে বিপজ্জনক বেপরোয়া আচরণের জন্য অভিযুক্ত করেছে। সেপ্টেম্বরে নৌকা হামলায় বেঁচে যাওয়া লোকদের ইচ্ছাকৃতভাবে ‘ডাবল-ট্যাপ’ হামলায় হত্যা করার খবর প্রকাশের পর ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা তাঁর অপসারণের দাবি আবার জোরালো করেছেন।

আবার বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি তদন্তে উঠে এসেছে, হেগসেথ ইয়েমেনে বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ‘সিগন্যাল’ মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে স্পর্শকাতর সামরিক বিবরণ শেয়ার করে পেন্টাগনের নীতি লঙ্ঘন করেছেন।

সাম্প্রতিক বিতর্কের কেন্দ্রে আছে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্যারিবীয় অভিযান, যেখানে সেপ্টেম্বর থেকে সন্দেহভাজন মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে ২২টি হামলায় কমপক্ষে ৮৭ জন নিহত হয়েছে। যদিও ট্রাম্প এই অভিযানকে ফেন্টানিল পাচার মোকাবিলার জন্য অপরিহার্য বলে দাবি করেন, তবে সমালোচকরা বলছেন এটি বাস্তবতাবিবর্জিত। ২ সেপ্টেম্বরের হামলায় যারা বেঁচেছিলেন, তাঁদের লক্ষ্য করে পরবর্তী প্রাণঘাতী আঘাতের নির্দেশ দেওয়ার পর অভিযানের বৈধতা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন উঠেছে।

হেগসেথ প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করেন, কিন্তু নিজেকে ‘যুদ্ধের ধোঁয়াশা’র মধ্যে থাকার কথা বলে দায় এড়ান। সিনেটর প্যাটি মারে তাঁকে ‘অযোগ্য ও বেপরোয়া’ বলে অভিহিত করে অবিলম্বে তাঁকে পদচ্যুতির দাবি জানিয়েছেন।

রিপাবলিকান সিনেটর র?্যান্ড পলও হেগসেথের অসততা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এসব সত্ত্বেও, ট্রাম্প প্রশাসন হেগসেথের প্রতি ‘সর্বোচ্চ আস্থা’ বজায় রেখেছে।