স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ রাখা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তন আনাসহ বেশকিছু পরিবর্তন এনে বেসরকারি স্কুল ও কলেজের জন্য নতুন এমপিও নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে, যেটি গত ৪ ডিসেম্বর জারি করার কথা বলা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক অধিশাখার উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন নীতিমালায় প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নীতিমালায় একাডেমিক স্বীকৃতি বা অধিভুক্তির জন্য আলাদা সূচক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়া প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থী থাকার বিষয়টিও রাখা হয়েছে নীতিমালা।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে এবং কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করা শিক্ষকরা এ সুবিধা পেতেন। এখন থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করলেও শিক্ষকরা বিএড স্কেল পাবেন, তবে এক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা ইউজিসি থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের অধিভুক্তি থাকতে হবে এবং ইউজিসি বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অধিভুক্তির ঘোষণা প্রকাশ হতে হবে।বেসরকারি কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ গত অক্টোবরেই বিলুপ্ত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়, নতুন নীতিমালায় সে বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছেন এ কর্মকর্তা। নতুন নীতিমালায় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ দিয়ে প্যাটার্নভুক্ত করার কথা তুলে ধরে মোরশেদ আলী বলেন, এমপিওভুক্ত যে কলেজগুলো অনার্স পড়ায় তারা আগেই ডিগ্রি বা স্নাতক (পাস) স্তরে এমপিও পেত, তারা ‘অনার্স’ স্তরে এখন এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবে। এছাড়া বিভিন্ন সময় জারি করা আগের নীতিমালার সংশোধনী ও স্পষ্টিকরণগুলো নতুন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছেন তিনি।
নীতিমালার ২৪ নম্বর ধারায় পেশার উৎকর্ষ সাধনের কথা বলা হয়েছে। এর ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য ও নোটবুক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এটিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যের লাগাম টেনে ধরার স্পষ্ট নির্দেশনা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নতুন এমপিও নীতিমালার ২৪ নম্বর ধারা ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, শিক্ষকতার ক্ষেত্রে নির্ধারিত পাঠ্যক্রম, শিক্ষণ-শিখন, নিয়মানুবর্তিতা ও শুদ্ধাচার যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, বিষয়ভিত্তিক উচ্চমানের দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে পারদর্শী হতে হবে; ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও একাডমিক শৃঙ্খলা রক্ষায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা প্রতিপালনে সচেষ্ট থাকতে হবে। এছাড়া ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি শিক্ষদের মধ্যে প্রতি বছর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন করে পুরস্কারের ব্যবস্থা করবে।
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
























