মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কম্বোডিয়ার সীমান্তে বিমান হামলা চালাল থাইল্যান্ড

থাই সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, কম্বোডিয়ার সঙ্গে বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় থাইল্যান্ড বিমান হামলা চালিয়েছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের।

থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানায়, সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষে এক থাই সেনা নিহত ও চারজন আহত হওয়ার পর তারা বিভিন্ন এলাকায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালাচ্ছে।

পরে আরো এক থাই সেনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।
উভয় দেশই সর্বশেষ এই উত্তেজনার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে। এই ঘটনা ঘটল ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের এক মাসেরও বেশি সময় পর।

কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা বলেন, সোমবার ভোর প্রায় ৫টার দিকে থাই বাহিনী কম্বোডিয়ার সেনাদের ওপর হামলা চালায়।

তিনি দাবি করেন, কম্বোডিয়া কোনো পাল্টা হামলা চালায়নি।
কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, যিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের পিতা এবং এখনো অত্যন্ত প্রভাবশালী। তিনি দেশটির বাহিনীকে সংযম দেখাতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, থাইল্যান্ড কম্বোডিয়াকে পাল্টা হামলায় জড়াতে চাচ্ছে।

হুন সেন ফেসবুক পোস্টে লেখেন, পাল্টা জবাব দেওয়ার রেডলাইন ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমি সব পর্যায়ের কমান্ডারদের অনুরোধ করছি, তারা যেন কর্মকর্তাদের ও সেনাদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।

জুলাই মাসে এই সীমান্ত উত্তেজনা পাঁচ দিনের যুদ্ধে রূপ নেয়, যাতে অন্তত ৪৮ জন মারা যায় এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়।

রবিবার থাই সামরিক বাহিনী সীমান্তবর্তী চারটি প্রদেশের কিছু গ্রাম খালি করার নির্দেশ দেয়। বর্তমানে প্রায় ৩৫,০০০ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে নিবন্ধিত রয়েছে।

থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইনথাই সুওয়ারি বলেন, থাই সেনাদের ওপর ভারী অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়, এতে একজন সেনা নিহত ও চারজন আহত হন। এ কারণে কম্বোডীয় বাহিনীর হামলা দমনে আমরা বিভিন্ন এলাকায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা শুরু করেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

কম্বোডিয়ার সীমান্তে বিমান হামলা চালাল থাইল্যান্ড

প্রকাশিত সময় : ০৩:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

থাই সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, কম্বোডিয়ার সঙ্গে বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় থাইল্যান্ড বিমান হামলা চালিয়েছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের।

থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানায়, সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষে এক থাই সেনা নিহত ও চারজন আহত হওয়ার পর তারা বিভিন্ন এলাকায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালাচ্ছে।

পরে আরো এক থাই সেনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।
উভয় দেশই সর্বশেষ এই উত্তেজনার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে। এই ঘটনা ঘটল ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের এক মাসেরও বেশি সময় পর।

কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা বলেন, সোমবার ভোর প্রায় ৫টার দিকে থাই বাহিনী কম্বোডিয়ার সেনাদের ওপর হামলা চালায়।

তিনি দাবি করেন, কম্বোডিয়া কোনো পাল্টা হামলা চালায়নি।
কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, যিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের পিতা এবং এখনো অত্যন্ত প্রভাবশালী। তিনি দেশটির বাহিনীকে সংযম দেখাতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, থাইল্যান্ড কম্বোডিয়াকে পাল্টা হামলায় জড়াতে চাচ্ছে।

হুন সেন ফেসবুক পোস্টে লেখেন, পাল্টা জবাব দেওয়ার রেডলাইন ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমি সব পর্যায়ের কমান্ডারদের অনুরোধ করছি, তারা যেন কর্মকর্তাদের ও সেনাদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।

জুলাই মাসে এই সীমান্ত উত্তেজনা পাঁচ দিনের যুদ্ধে রূপ নেয়, যাতে অন্তত ৪৮ জন মারা যায় এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়।

রবিবার থাই সামরিক বাহিনী সীমান্তবর্তী চারটি প্রদেশের কিছু গ্রাম খালি করার নির্দেশ দেয়। বর্তমানে প্রায় ৩৫,০০০ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে নিবন্ধিত রয়েছে।

থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইনথাই সুওয়ারি বলেন, থাই সেনাদের ওপর ভারী অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়, এতে একজন সেনা নিহত ও চারজন আহত হন। এ কারণে কম্বোডীয় বাহিনীর হামলা দমনে আমরা বিভিন্ন এলাকায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা শুরু করেছি।