মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন ঋতুপর্ণা

বাংলাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া। সমাজের নানা ক্ষেত্রে নারীদের স্বীকৃতি ও অবদানের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করে। এবার নারী শিক্ষা খাতে ড. রুভানা রাকিব, শ্রম অধিকার আন্দোলনে ভূমিকার জন্য কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার খাতে অবদানের জন্য ড. নাবিলা ইদ্রিস এবং ক্রীড়ায় নারী জাগরণ সৃষ্টিতে ভূমিকার জন্য ঋতুপর্ণা চাকমা এই পদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

ঋতুপর্ণা চাকমা বাংলাদেশের তারকা নারী ফুটবলার। তার জোড়া গোলের কারণেই বাংলাদেশ শক্তিশালী মিয়ানমারকে হারিয়ে প্রথমবারে মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলবে। শুধু এশিয়া কাপই নয়, ঋতুপর্ণার গোলেই গত বছর সাফ ফাইনালে বাংলাদেশকে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সামাজিক ও পারিবারিক নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ঋতুপর্ণা এখন শুধু ক্রীড়াঙ্গন নয় পুরো দেশেরই অন্যতম এক আইকনে পরিণত হয়েছেন।

৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যু দিবস। ঐ দিনই বাংলাদেশ সরকার রোকেয়া পদক প্রদান করে। বিগত সময়ে রোকেয়া দিবসে ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করা হয়নি। গত বছর কিংবদন্তী দাবাড়ু রাণী হামিদকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। এবার ঋতুপর্ণা চাকমা এই পদক পাচ্ছেন। আগামীকাল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পদক হস্তান্তর হস্তান্তর করা হবে।

দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ২০২৫ সালে এই পদক পেয়েছিল। নারী ফুটবলারদের আগে ক্রীড়াঙ্গনের জন্য কেউ পদক পায়নি। সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার আব্দুল হামিদ সাংবাদিকতার জন্য একুশের পদক পেয়েছিলেন। দল হিসেবে একুশে পদক পাওয়ার ক্ষেত্রে নারী দলই প্রথম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন ঋতুপর্ণা

প্রকাশিত সময় : ০৪:৩৯:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া। সমাজের নানা ক্ষেত্রে নারীদের স্বীকৃতি ও অবদানের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করে। এবার নারী শিক্ষা খাতে ড. রুভানা রাকিব, শ্রম অধিকার আন্দোলনে ভূমিকার জন্য কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার খাতে অবদানের জন্য ড. নাবিলা ইদ্রিস এবং ক্রীড়ায় নারী জাগরণ সৃষ্টিতে ভূমিকার জন্য ঋতুপর্ণা চাকমা এই পদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

ঋতুপর্ণা চাকমা বাংলাদেশের তারকা নারী ফুটবলার। তার জোড়া গোলের কারণেই বাংলাদেশ শক্তিশালী মিয়ানমারকে হারিয়ে প্রথমবারে মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলবে। শুধু এশিয়া কাপই নয়, ঋতুপর্ণার গোলেই গত বছর সাফ ফাইনালে বাংলাদেশকে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সামাজিক ও পারিবারিক নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ঋতুপর্ণা এখন শুধু ক্রীড়াঙ্গন নয় পুরো দেশেরই অন্যতম এক আইকনে পরিণত হয়েছেন।

৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যু দিবস। ঐ দিনই বাংলাদেশ সরকার রোকেয়া পদক প্রদান করে। বিগত সময়ে রোকেয়া দিবসে ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করা হয়নি। গত বছর কিংবদন্তী দাবাড়ু রাণী হামিদকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। এবার ঋতুপর্ণা চাকমা এই পদক পাচ্ছেন। আগামীকাল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পদক হস্তান্তর হস্তান্তর করা হবে।

দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ২০২৫ সালে এই পদক পেয়েছিল। নারী ফুটবলারদের আগে ক্রীড়াঙ্গনের জন্য কেউ পদক পায়নি। সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার আব্দুল হামিদ সাংবাদিকতার জন্য একুশের পদক পেয়েছিলেন। দল হিসেবে একুশে পদক পাওয়ার ক্ষেত্রে নারী দলই প্রথম।