সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জগন্নাথ হলে গোলাম আজম-কাদের ও নিজামীর ব্যঙ্গাত্মক ছবি মুছে দিল প্রশাসন

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে পদদলিত করতে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আজম, কাদের মোল্লা ও মতিউর রহমান নিজামীর ছবি আঁকা হয়েছিল। তবে হলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ছবিগুলো মুছে দিয়েছে হল প্রশাসন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে হলের বিভিন্ন প্রবেশমুখে ছবিগুলো আঁকা হয়। ছবির রং শুকানোর পর ১৪ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে এগুলো পদদলিত করার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছবিগুলো মুছে দেয় হল প্রশাসন।

এ বিষয়ে জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি পল্লব বর্মণ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জগন্নাথ হল। ১৪ ডিসেম্বর এই হলের জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। আমরা সেই ১৪ ডিসেম্বর স্মরণে তুলির আচরে দ্রোহ নামে একটি কর্মসূচির আয়োজন করি। ওই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা তাদের মধ্যে থাকা দ্রোহ দিয়ে এই ছবিগুলো এঁকেছিলো।’

ছবি কেন মুছে দেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হল প্রশাসন আমাদের সিকিউরিটি কনসার্নের দোহাই দিয়ে ছবিগুলো মুছে দিয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্তকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। অতি দ্রুত এই কাজের হল প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে।’

এ বিষয়ে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল বলেন, ‘হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এটা করেছে এবং তা সম্পূর্ণই হল প্রশাসনের অজান্তেই করা হয়েছে। পরবর্তীতে, যেহেতু বিগত সময়ে কখনোই ১৪ ডিসেম্বর বা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে এরকম কোনো কিছুই করা হয়নি তাই কর্তৃপক্ষ প্রতীকী চিত্রগুলো মুছে ফেলেছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

জগন্নাথ হলে গোলাম আজম-কাদের ও নিজামীর ব্যঙ্গাত্মক ছবি মুছে দিল প্রশাসন

প্রকাশিত সময় : ০৫:৩৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে পদদলিত করতে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আজম, কাদের মোল্লা ও মতিউর রহমান নিজামীর ছবি আঁকা হয়েছিল। তবে হলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ছবিগুলো মুছে দিয়েছে হল প্রশাসন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে হলের বিভিন্ন প্রবেশমুখে ছবিগুলো আঁকা হয়। ছবির রং শুকানোর পর ১৪ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে এগুলো পদদলিত করার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছবিগুলো মুছে দেয় হল প্রশাসন।

এ বিষয়ে জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি পল্লব বর্মণ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জগন্নাথ হল। ১৪ ডিসেম্বর এই হলের জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। আমরা সেই ১৪ ডিসেম্বর স্মরণে তুলির আচরে দ্রোহ নামে একটি কর্মসূচির আয়োজন করি। ওই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা তাদের মধ্যে থাকা দ্রোহ দিয়ে এই ছবিগুলো এঁকেছিলো।’

ছবি কেন মুছে দেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হল প্রশাসন আমাদের সিকিউরিটি কনসার্নের দোহাই দিয়ে ছবিগুলো মুছে দিয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্তকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। অতি দ্রুত এই কাজের হল প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে।’

এ বিষয়ে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল বলেন, ‘হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এটা করেছে এবং তা সম্পূর্ণই হল প্রশাসনের অজান্তেই করা হয়েছে। পরবর্তীতে, যেহেতু বিগত সময়ে কখনোই ১৪ ডিসেম্বর বা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে এরকম কোনো কিছুই করা হয়নি তাই কর্তৃপক্ষ প্রতীকী চিত্রগুলো মুছে ফেলেছে।’