রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু হয়।
এ সময় বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
এদিকে সকাল ৮টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাঙালির শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির সংগ্রামে বুদ্ধিভিত্তিক মনস্তত্ত্ব গঠনে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন, আজকের দিনটি জাতির সেই সূর্যসন্তানদের স্মরণে উৎসর্গ করা। একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে পাকিস্তানি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড চালায়। বিশেষ করে বিজয়ের প্রাক্কালে এই হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়, যেখানে তাদের সহযোগিতা করে দেশীয় দোসররা।
বক্তারা আরও বলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। জাতির সেই অপূরণীয় ক্ষতি আজও পুরোপুরি পূরণ না হলেও বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবএটাই সকলের প্রত্যাশা।

রায়হান রোহানঃ 






















