সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ঢল নেমেছে মানুষের।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় বুদ্ধিজীবী কবরস্থান প্রাঙ্গণ। একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।

প্রসঙ্গত, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের শেষলগ্নে বাঙালি যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা মেতে ওঠে দেশের বুদ্ধিজীবীদের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞে। বিজয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে বাঙালি মেধার সে নৃশংস নিধনযজ্ঞ গোটা বিশ্বকে হতবিহ্বল করে তোলে।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাত্র দুদিন আগে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে মিরপুর ও রায়েরবাজারের ডোবা-নালা ও ইটখোলায় বুলেটবিদ্ধ ও নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

১৯৭২ সালে প্রকাশিত বিভিন্ন সংকলন, পত্রিকা ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা প্রায় এক হাজার ৭০ জন। হত্যার আগে তাদের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকার মিরপুরে প্রথম স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। পরে রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ শুরু হয় ১৯৯১ সালে, যা ১৯৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত সময় : ০৫:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ঢল নেমেছে মানুষের।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় বুদ্ধিজীবী কবরস্থান প্রাঙ্গণ। একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।

প্রসঙ্গত, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের শেষলগ্নে বাঙালি যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা মেতে ওঠে দেশের বুদ্ধিজীবীদের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞে। বিজয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে বাঙালি মেধার সে নৃশংস নিধনযজ্ঞ গোটা বিশ্বকে হতবিহ্বল করে তোলে।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাত্র দুদিন আগে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে মিরপুর ও রায়েরবাজারের ডোবা-নালা ও ইটখোলায় বুলেটবিদ্ধ ও নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

১৯৭২ সালে প্রকাশিত বিভিন্ন সংকলন, পত্রিকা ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা প্রায় এক হাজার ৭০ জন। হত্যার আগে তাদের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকার মিরপুরে প্রথম স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। পরে রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ শুরু হয় ১৯৯১ সালে, যা ১৯৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয়।