পাকিস্তানি তারকা শিল্পী আতিফ আসলামের কনসার্ট বাতিলের পর টিকিটের টাকা ফেরত না দেওয়ায় অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছেন এক আইনজীবী।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ব্যারিস্টার আহসান হাবীব ভূঁইয়া এই মামলার আবেদন করেন।
ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন বাদীর জবানবন্দির পর ডিবি পুলিশকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন ‘মেইন স্টেজ ইনক’র কো-ফাউন্ডার কাজী রাফসান, ব্রিতি সাবরিনা খান, চলঘুরি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আসিফ ইকবাল ও চেয়ারম্যান প্রমি ইসলাম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৬ নভেম্বর রাফসান ফেইসবুক পেজ মেইন স্টেজ ইনক-এ একটি চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন বা পোস্ট, শেয়ার/পাবলিশড/প্রচার করে জানান উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠ শিল্পী আতিফ আসলাম ঢাকায় লাইভ কনসার্টে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। প্রথমদিকে অনুষ্ঠান আয়োজনের স্থান প্রকাশ করা না হলেও পরবর্তীতে ওই পেজেই জানানো হয়, অনুষ্ঠানটি পূর্বাচল নিউ টাউনে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বানিজ্যমেলা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে।সাবরিনা খান রাফসানের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তার ‘মারভেল’ নামিও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে কনসার্টের পক্ষ প্রচারণা চালান।
গত ১৬ নভেম্বর কনসার্টের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর নির্ধারিত হয় এবং সর্ব সাধারণের জন্য টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আহসান হাবীব ভূঁইয়া ১৯ নভেম্বর চলঘুরি লিমিটেড বরাবর ২৮ হাজার ৮৪৪ টাকা মূল্যে পাঁচটি টিকিট কেনেন। তার পরিচিত অনেকেই টিকিট কেনেন। তবে সরকারের অনুমতি না মেলায় ১২ ডিসেম্বর রাফসান ফেসবুক পেজে জানান কনসার্টটি স্থগিত করা হয়েছে।
কনসার্ট স্থগিত করায় হতাশ ও ক্ষুদ্ধ হয়ে ১২ ডিসেম্বর আহসান হাবীব ভূঁইয়া রাফসানকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে তাদের কৃতকর্মের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। টিকিটের টাকা কিভাবে ফেরত দিকে তাও জানাতে বলা হয়। তবে লিগ্যাল নোটিশ পেয়েও তারা ক্ষমা চাননি। বরং আহসান হাবীব ভূঁইয়াকে ওই ফেসবুক পেজে ব্লক দেয়। সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন এটা বুঝতে পেরে আহসান হাবীব ভূঁইয়া আজ আদালতে মামলা করলেন।

বিনোদন ডেস্ক/ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম 
























