হোয়াইট হাউস থেকে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া এক সন্ধ্যাকালীন ভাষণে তার সরকারের ১১ মাসের সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন।
ভাষণে তিনি ভোক্তাপণ্যের উচ্চমূল্যের জন্য তার ডেমোক্র্যাট পূর্বসূরির ওপর দায় চাপান এবং বিস্তৃত অভ্যন্তরীণ সংস্কারের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
কূটনৈতিক অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে বক্তব্য রেখে ট্রাম্প বলেন, ‘তার প্রশাসন বহু সাফল্য অর্জন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে গাজায় যুদ্ধের অবসান, ইরানের পারমাণবিক হুমকি নির্মূল করা এবং ৩ হাজার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা।’
তিনি জানান, তার প্রশাসন ১০ মাসের মধ্যে আটটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছে এবং গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দীদের জীবিত এবং মৃত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে।’
দেশের ভেতরের নীতির দিকে মনোযোগ দিতে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি খুব শিগগিরই ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করবেন। যাকে এই পদে বেছে নেওয়া হবে, তিনি সুদের হার বড় আকারে কমানোর পক্ষে থাকবেন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৮ ট্রিলিয়ন ডলারের (১৮ লাখ কোটি টাকা) রেকর্ড বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছে, যা উচ্চ মজুরি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। দশ লাখের বেশি মার্কিন পরিষেবা সদস্য ক্রিসমাসের ছুটির আগে আর্থিক বোনাস পাবেন।’
এদিন অভিবাসন প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আগে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত খোলা ছিল, যার ফলে তার ভাষায় লাখ লাখ মানুষের ঢল নেমেছিল। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ কমানো থেকে শুরু করে কিছু পণ্যের দাম কমানোর মতো নানা ক্ষেত্রে তার সরকার কাজ করেছে।’
বুধবারের বক্তব্যেও তিনি জো বাইডেন-এর শাসনামলের দিকে দায় চাপান, যদিও স্বীকার করেন যে পণ্যের দাম এখনো বেশি। তবে তার দাবি, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এই বাড়তি দাম কমাচ্ছি এবং খুব দ্রুতই দাম নিচে নামবে।’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম 
























