কেমন আছেন?
ভালো আছি। এই মুহূর্তে অফিসে। অনেকেই হয়তো জানেন না, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। চাকরি ও অভিনয়—দুটোই করি।
বিনোদন ডেস্ক/ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম কেমন আছেন?
ভালো আছি। এই মুহূর্তে অফিসে। অনেকেই হয়তো জানেন না, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। চাকরি ও অভিনয়—দুটোই করি।
চাকরি এবং শুটিং—সময় মেলাতে সমস্যা হয় না?
আমি যখন চাকরিতে জয়েন করি তখন কলিগরা জানতেন আমার আরো একটা ক্যারিয়ার আছে। অন্যদিকে নির্মাতারাও জানেন ছুটির দিন ছাড়া আমি সাধারণত শিডিউল দিই না। ফলে একটা সমঝোতা হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত সমস্যায় পড়তে হয়নি।
দিন দিন তো ব্যস্ততা বাড়ছে। আগামীতে দুটো একসঙ্গে সামলানো তো কঠিন হবে!
কিছুটা বুঝতে পারছি। তবু চাকরিটা ছাড়তে চাই না। দুটো ক্যারিয়ারই একসঙ্গে চালাতে চাই।
নতুন কী কী করলেন?
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি একক নাটক করেছি। ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য’, ‘ছায়াসঙ্গী’, ‘দ্বিতীয় বসন্ত’সহ দশ-বারোটি হবে। হাতে আরো কয়েকটি নাটকের প্রস্তাব আছে।
প্রথম নাটকেই খায়রুল বাসারের সঙ্গে জুটি হয়েছিলেন। এরপর আরো কয়েকটি নাটক হয়েছে তাঁর সঙ্গে। বাসার সহ-অভিনেতা হিসেবে কেমন?
এক কথায় অসাধারণ। ‘গোল্ডফিশ’ ছিল একক অভিনেত্রী হিসেবে আমার প্রথম নাটক। তাতেই বাসার ভাইকে পেয়েছি। তিনি অনেক বিষয়ে আমাকে টিপস দিয়েছেন। ক্যামেরার সামনে কিভাবে সংলাপ ডেলিভারি দিতে হয়, এক্সপ্রেশন কেমন হবে—সবই দেখিয়ে দিয়েছেন। আমি যে দশ-বারোটি নাটক করেছি এর মধ্যে বাসার ভাইয়ের সঙ্গেই আটটি। তিনি আমার সঙ্গে মিলিয়ে শিডিউল করেন। মানে আমার ছুটির দিনগুলোতে শুটিং করেন। সহ-অভিনেতার কাছে এরচেয়ে বেশি আর কী পাওয়ার থাকে?
ছোটবেলায় অনেক পণ্যের মডেল হয়েছেন…
হ্যাঁ। এসিআই, গ্রামীণ ফোন, প্রাণ, রবি থেকে শুরু করে ডিপ্লোমা—দেশের বড় বড় সব ব্র্যান্ডের পণ্যের মডেল হয়েছি। বলতে পারেন, ছোটবেলা থেকেই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম।
শুরুটা কিভাবে হয়েছিল?
সে এক মজার ঘটনা। আমার বয়স ছিল সাত বছর। তখন বাসা ছিল উত্তরায়। সেখানে ছিল একটি শুটিং হাউস। একদিন আমি কাজিনদের সঙ্গে খেলছিলাম। তখন অমিতাভ রেজা ভাই একটা বিজ্ঞাপনের শুটিং করছিলেন হাউসটিতে। কাস্টিং ডিরেক্টর আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, অভিনয় করব কি না? আমি জানালাম, বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতে। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে নিয়ে তিনি বাবার কাছে গেলেন। বললেন, আপনার মেয়েকে একটা বিজ্ঞাপনচিত্রে নিতে চাই। কিছু স্থিরচিত্র দেন। বাবা খুশি হয়ে বাসা থেকে আমার কিছু ছবি দিলেন। প্রায় এক মাস পরেই ফোন পেলেন বাবা। আমি এসিআই অ্যারোসলের বিজ্ঞাপনচিত্রে চূড়ান্ত হয়েছি। এরপর কত বিজ্ঞাপনচিত্রে যে কাজ করেছি তার হিসাব নেই।
ওয়েব ছবি ‘লিটল মিস ক্যাওস’ মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
এই ছবি আমার ক্যারিয়ার পরিবর্তন করে দিয়েছে। বলতে পারেন, এই যে এত এত কল পাচ্ছি, কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি—এসবের জন্য এই ছবি নির্মাতা মাহমুদা সুলতানা রীমা আপুর কাছে কৃতজ্ঞ। শুটিংয়ের আগে তিনি প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। আমাদের নিয়ে গ্রুমিং করিয়েছেন। এখন সেটার সুফল সবাই পাচ্ছি। জানেন তো! এখনো কিন্তু ওটিটির ট্রেন্ডিংয়ে আছে ওয়েব ছবিটি।
বড় পর্দার কথা ভাবছেন?
বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পেয়েছি। এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে আশা করছি, সামনের বছরের মাঝামাঝি বড় পর্দা নিয়ে একটা ঘোষণা দিতে পারব, একটা সুখবর পাবেন আমার ভক্তরা।