বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অবদানের কথা স্মরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর পূর্বাচলে ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তাকে দেওয়া গণসংবর্ধনায় রাখা বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাদির মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেন।
তারেক রহমান বলেন, কয়েকদিন আগে শহীদ হয়েছেন ওসমান হাদি। তিনি চেয়েছিলেন, এদেশের মানুষ যেন তাদের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পায়। ১৯৭১ সালে যারা শহীদ হয়েছেন এবং ২০২৪ সালে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ২০২৪ সালে তেমনই সর্বস্তরের মানুষ একত্র হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে চায়। আজকের দিনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের কথা বলার অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে আগ্রহী।
এর আগে, দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাসে নির্বাসিত জীবনের ইতি টেনে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তারেক রহমান। তার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের স্বাগত জানান। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠার আগে তারেক রহমান জুতা খুলে মাটিতে পা রাখেন এবং হাতে একমুঠো মাটি নেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
এরপর নির্ধারিত লাল-সবুজ রঙের একটি বাসে করে পূর্বাঞ্চলের তিনশ’ ফিটে আয়োজিত গণসংবর্ধনাস্থলে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। লাখো মানুষ তাকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। দলীয় কর্মী আর উৎসুক জনতার স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ৩০০ ফিট বা জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে এবং আশপাশের এলাকা। মঞ্চে উঠেই হাত নেড়ে মানুষের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার জবাব দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

রিপোর্টারের নাম 


















