রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

সাত বছর আগে ঢাকার দোহার থানাধীন সুতারপাড়া ইউনিয়নে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “আসামি জিয়াউর রহমান পলাতক। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।”

আসামি জিয়াউর রহমান ঢাকা জেলার দোহার থানার বানাঘাটা গ্রামের শেখ সোনা মিয়ার ছেলে।

২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশে সবজি ক্ষেতে সবজি আনতে যায় কিশোরী। সেখান থেকে ফেরার পথে জিয়াউর রহমান সকাল পৌনে ১০টার দিকে জিয়াউর রহমান ওই কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী একটি ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি ধারালো অস্ত্র (চাকু) দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন কিশোরীকে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা দোহার থানায় মামলা করেন।

মামলাটি করে তদন্ত করেন দোহার থানার উপপরিদর্শক সৈয়দ মেহেদী হাসান। তিনি আসামিকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত সময় : ০২:২৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

সাত বছর আগে ঢাকার দোহার থানাধীন সুতারপাড়া ইউনিয়নে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “আসামি জিয়াউর রহমান পলাতক। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।”

আসামি জিয়াউর রহমান ঢাকা জেলার দোহার থানার বানাঘাটা গ্রামের শেখ সোনা মিয়ার ছেলে।

২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশে সবজি ক্ষেতে সবজি আনতে যায় কিশোরী। সেখান থেকে ফেরার পথে জিয়াউর রহমান সকাল পৌনে ১০টার দিকে জিয়াউর রহমান ওই কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী একটি ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি ধারালো অস্ত্র (চাকু) দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন কিশোরীকে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা দোহার থানায় মামলা করেন।

মামলাটি করে তদন্ত করেন দোহার থানার উপপরিদর্শক সৈয়দ মেহেদী হাসান। তিনি আসামিকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।