সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ শনিবার, যা ভুলেও করবেন না

পৃথিবী ও চাঁদ একটি নির্দিষ্ট নিয়মে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, এর ফলে সূর্যের বিপরীতে পৃথিবী এবং চাঁদের অবস্থান প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন হতে হতে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী যখন একটি নির্দিষ্ট ফ্রেমে অবস্থান নেয় তখনই হয় সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণ। চলতি বছরের ২৯ মার্চ তথা আগামীকাল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ।

সূর্য কিন্তু চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুন বড়। তবু আমাদের চাঁদ পুরো সূর্যকে আড়াল করে দিতে পারে। এটা সম্ভব হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে, সূর্য যেমন চাঁদ অপেক্ষা ৪০০ গুন বড় ঠিক তেমনিভাবে সূর্য পৃথিবী থেকে চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুন দূরে অবস্থিত। এই কারণে পৃথিবী থেকে চাঁদ ও সূর্যের আকার আমাদের কাছে সমান মনে হয়। সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য থেকে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ অতিবেগুনি রশ্মি ছড়ায়। তাই এই সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকালে চোখের ক্ষতি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

আমাদের দেশে অনেকে বলেন, গর্ভাবস্থায় কোনো নারী সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণের সময় যদি কিছু কাটাকাটি করেন তাহলে গর্ভের সন্তানের নাকি অঙ্গহানি হয়। আসলে এগুলো কুসংস্কার। আসলে প্রকৃতির এক অনন্য, অনবদ্য ও খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা হচ্ছে এই সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণ। এখানে কুসংস্কারের কোনো জায়গা নেই।

সূর্যগ্রহণ নিয়ে কুসংস্কার-

প্রসূতি মায়েদের ভয়

সূর্যগ্রহণের সময় জন্ম নেওয়া শিশুদের ব্যাপারে দুই ধরনের গল্প শুনতে পাওয়া যায়। এক, শিশুটি অসুস্থ হবে এবং দুই, শিশুটি চালাক হবে। তবে এ দুটি ধারণার কোনোটার ক্ষেত্রেই বিশ্বাস করার মতো যুক্তি বা তথ্য পাওয়া যায় না।

সূর্যগ্রহণের সময় যা করা যাবে না

সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের দিকে সরাসরি তাকানো বারণ। যেকোনো সময়েই সূর্যের দিকে সরাসরি তাকাতে নেই। সে হোক গ্রহণের সময়, কিংবা স্বাভাবিক সময়ে। সূর্যগ্রহণ দেখতে চাইলে কাঁসার পাত্রে পানি রেখে দেখা যেতে পারে। এছাড়া বিশেষ চশমা দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। সূত্র: যুগান্তর

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ শনিবার, যা ভুলেও করবেন না

প্রকাশিত সময় : ১২:১৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

পৃথিবী ও চাঁদ একটি নির্দিষ্ট নিয়মে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, এর ফলে সূর্যের বিপরীতে পৃথিবী এবং চাঁদের অবস্থান প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন হতে হতে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী যখন একটি নির্দিষ্ট ফ্রেমে অবস্থান নেয় তখনই হয় সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণ। চলতি বছরের ২৯ মার্চ তথা আগামীকাল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ।

সূর্য কিন্তু চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুন বড়। তবু আমাদের চাঁদ পুরো সূর্যকে আড়াল করে দিতে পারে। এটা সম্ভব হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে, সূর্য যেমন চাঁদ অপেক্ষা ৪০০ গুন বড় ঠিক তেমনিভাবে সূর্য পৃথিবী থেকে চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুন দূরে অবস্থিত। এই কারণে পৃথিবী থেকে চাঁদ ও সূর্যের আকার আমাদের কাছে সমান মনে হয়। সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য থেকে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ অতিবেগুনি রশ্মি ছড়ায়। তাই এই সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকালে চোখের ক্ষতি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

আমাদের দেশে অনেকে বলেন, গর্ভাবস্থায় কোনো নারী সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণের সময় যদি কিছু কাটাকাটি করেন তাহলে গর্ভের সন্তানের নাকি অঙ্গহানি হয়। আসলে এগুলো কুসংস্কার। আসলে প্রকৃতির এক অনন্য, অনবদ্য ও খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা হচ্ছে এই সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণ। এখানে কুসংস্কারের কোনো জায়গা নেই।

সূর্যগ্রহণ নিয়ে কুসংস্কার-

প্রসূতি মায়েদের ভয়

সূর্যগ্রহণের সময় জন্ম নেওয়া শিশুদের ব্যাপারে দুই ধরনের গল্প শুনতে পাওয়া যায়। এক, শিশুটি অসুস্থ হবে এবং দুই, শিশুটি চালাক হবে। তবে এ দুটি ধারণার কোনোটার ক্ষেত্রেই বিশ্বাস করার মতো যুক্তি বা তথ্য পাওয়া যায় না।

সূর্যগ্রহণের সময় যা করা যাবে না

সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের দিকে সরাসরি তাকানো বারণ। যেকোনো সময়েই সূর্যের দিকে সরাসরি তাকাতে নেই। সে হোক গ্রহণের সময়, কিংবা স্বাভাবিক সময়ে। সূর্যগ্রহণ দেখতে চাইলে কাঁসার পাত্রে পানি রেখে দেখা যেতে পারে। এছাড়া বিশেষ চশমা দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। সূত্র: যুগান্তর