সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের পরদিনও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে

ছুটি না পেয়ে, যানবাহন না পেয়ে, ভোগান্তি এড়াতে নানা কারণে ঈদের আগে ঢাকা ছাড়তে পারেননি অনেকে। তাই ঈদের পরদিনও গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন অনেকে। তবে পথে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কাজলা এলাকা ঘুরে অনেককে ঢাকা ছাড়াতে দেখা গেছে।

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেউ কর্মব্যস্ততার কারণে, কেউবা ভোগান্তি এড়াতেই ঈদের পরদিন ঢাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। পুরো পরিবার, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে অনেকে যাচ্ছেন।

নুরজাহান বেগম নামে এক যাত্রী বলেন, “বায়তুল মোকাররমে আমাদের দোকান। গতকাল সকাল ৭টা পর্যন্ত দোকান খোলা ছিলো। এরপর কী আর যাওয়া সম্ভব। আজ সবাই মিলে গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম যাচ্ছি। আমাদের মত অনেকেই দেখছি ঢাকা ছাড়তেছে।”

তানভীর আলম নামে এক যাত্রী বলেন, “পরিবারসহ ঢাকায় ঈদ করেছি। এবার ঈদে লম্বা ছুটি। হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছি গ্রাম থেকে ঘুরে আসি। এজন্য যাচ্ছি।”

কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের বাসচালকের সহকারী হায়দার জানান, এবার ঈদের সময় যাত্রীর চাপ খুব বেশি ছিল না। তবে আজও অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন।

ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, “ঈদের সময়, তাই ২০/৩০ টাকা বেশিই নিচ্ছি। ঈদ বলে কথা।”
ছোট বাচ্চা ও নানিকে নিয়ে সিলেট যাবেন সালমা রহমান। তিনি বলেন, “আগে টিকিট পাইনি। বয়স্ক মানুষ, বাচ্চা নিয়ে টিকিট ছাড়া যাওয়া সম্ভব না। তাই আগে যাইনি। আজকে টিকিট পেয়েছি। একটু পর বাস ছাড়বে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ঈদের পরদিনও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে

প্রকাশিত সময় : ১২:৫৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

ছুটি না পেয়ে, যানবাহন না পেয়ে, ভোগান্তি এড়াতে নানা কারণে ঈদের আগে ঢাকা ছাড়তে পারেননি অনেকে। তাই ঈদের পরদিনও গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন অনেকে। তবে পথে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কাজলা এলাকা ঘুরে অনেককে ঢাকা ছাড়াতে দেখা গেছে।

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেউ কর্মব্যস্ততার কারণে, কেউবা ভোগান্তি এড়াতেই ঈদের পরদিন ঢাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। পুরো পরিবার, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে অনেকে যাচ্ছেন।

নুরজাহান বেগম নামে এক যাত্রী বলেন, “বায়তুল মোকাররমে আমাদের দোকান। গতকাল সকাল ৭টা পর্যন্ত দোকান খোলা ছিলো। এরপর কী আর যাওয়া সম্ভব। আজ সবাই মিলে গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম যাচ্ছি। আমাদের মত অনেকেই দেখছি ঢাকা ছাড়তেছে।”

তানভীর আলম নামে এক যাত্রী বলেন, “পরিবারসহ ঢাকায় ঈদ করেছি। এবার ঈদে লম্বা ছুটি। হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছি গ্রাম থেকে ঘুরে আসি। এজন্য যাচ্ছি।”

কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের বাসচালকের সহকারী হায়দার জানান, এবার ঈদের সময় যাত্রীর চাপ খুব বেশি ছিল না। তবে আজও অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন।

ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, “ঈদের সময়, তাই ২০/৩০ টাকা বেশিই নিচ্ছি। ঈদ বলে কথা।”
ছোট বাচ্চা ও নানিকে নিয়ে সিলেট যাবেন সালমা রহমান। তিনি বলেন, “আগে টিকিট পাইনি। বয়স্ক মানুষ, বাচ্চা নিয়ে টিকিট ছাড়া যাওয়া সম্ভব না। তাই আগে যাইনি। আজকে টিকিট পেয়েছি। একটু পর বাস ছাড়বে।”