সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিউনিসিয়ায় বিরোধী নেতাদের ৬৬ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড

তিউনিসিয়ার একটি আদালত জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য বিশিষ্ট বিরোধীদলীয় নেতাসহ একাধিক আসামিকে ১৩ থেকে ৬৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়ের সমালোচনা করছে

এই মামলায় প্রায় ৪০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বও রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদের কট্টর সমালোচকও রয়েছেন।

সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জাহওয়ারা এফএমসহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আসামিদের ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ ও ‘একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে জড়িত থাকার’ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

আইনজীবীরা বলেছেন, তাদের সাজা সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি। সব আসামিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, নাকি তাদের মধ্যে কয়েকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তারা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সুপরিচিত বিরোধীদলীয় ব্যক্তি, আইনজীবী ও ব্যবসায়ী রয়েছেন। যাদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যেই দুই বছর ধরে কারাগারে আছেন। অন্যরা নির্বাসনে অথবা এখনও মুক্ত আছেন।

কামেল জেন্ডৌবি আদালত কর্তৃক ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ডে’র নিন্দা করেছেন।তিনি একজন মানবাধিকার আইনজীবী ও সাবেক মন্ত্রী। এই রায়ের সময় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

জেন্ডৌবি অভিযোগ করে বলেন, ‘এটি কোনও বিচার বিভাগীয় রায় নয়, বরং বিচারকদের একটি আদেশে সহযোগী প্রসিকিউটরদের ও একজন বিচারমন্ত্রীর কার্যকর করা একটি রাজনৈতিক ডিক্রি, যারা সকলেই ‘একজন ভীতু স্বৈরশাসকের’ সেবক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

তিউনিসিয়ায় বিরোধী নেতাদের ৬৬ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড

প্রকাশিত সময় : ১১:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

তিউনিসিয়ার একটি আদালত জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য বিশিষ্ট বিরোধীদলীয় নেতাসহ একাধিক আসামিকে ১৩ থেকে ৬৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়ের সমালোচনা করছে

এই মামলায় প্রায় ৪০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বও রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদের কট্টর সমালোচকও রয়েছেন।

সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জাহওয়ারা এফএমসহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আসামিদের ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ ও ‘একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে জড়িত থাকার’ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

আইনজীবীরা বলেছেন, তাদের সাজা সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি। সব আসামিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, নাকি তাদের মধ্যে কয়েকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তারা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সুপরিচিত বিরোধীদলীয় ব্যক্তি, আইনজীবী ও ব্যবসায়ী রয়েছেন। যাদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যেই দুই বছর ধরে কারাগারে আছেন। অন্যরা নির্বাসনে অথবা এখনও মুক্ত আছেন।

কামেল জেন্ডৌবি আদালত কর্তৃক ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ডে’র নিন্দা করেছেন।তিনি একজন মানবাধিকার আইনজীবী ও সাবেক মন্ত্রী। এই রায়ের সময় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

জেন্ডৌবি অভিযোগ করে বলেন, ‘এটি কোনও বিচার বিভাগীয় রায় নয়, বরং বিচারকদের একটি আদেশে সহযোগী প্রসিকিউটরদের ও একজন বিচারমন্ত্রীর কার্যকর করা একটি রাজনৈতিক ডিক্রি, যারা সকলেই ‘একজন ভীতু স্বৈরশাসকের’ সেবক।