মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৪ জনের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও মিঠামইন উপজেলায় বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থী ও এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী নামাপাড়া ও মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর হাওরে মারা যান তারা।

পাকুন্দিয়ায় মারা যাওয়ারা হলেন- উপজেলার চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ইরিনা (১৫), বাদল মিয়ার মেয়ে প্রিয়া (১৫) এবং একই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে বর্ষা ১৫)। তারা সবাই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর গ্রামে মারা যাওয়া কৃষকের নাম মোহাম্মদ কটু মিয়া (৪০)। তিনি আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে।

পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, “মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল শিক্ষার্থীরা।  চরটেকী নামাপাড়া এলাকায় বৃষ্টির কবলে পড়েন তারা। এসময় বজ্রপাত হলে তিন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বর্ষাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক বর্ষাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম বলেন, “কটু মিয়া বাড়ি থেকে গরু আনতে চমকপুর বন্দের হাওরে যান। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত সময় : ০৭:১০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও মিঠামইন উপজেলায় বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থী ও এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী নামাপাড়া ও মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর হাওরে মারা যান তারা।

পাকুন্দিয়ায় মারা যাওয়ারা হলেন- উপজেলার চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ইরিনা (১৫), বাদল মিয়ার মেয়ে প্রিয়া (১৫) এবং একই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে বর্ষা ১৫)। তারা সবাই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর গ্রামে মারা যাওয়া কৃষকের নাম মোহাম্মদ কটু মিয়া (৪০)। তিনি আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে।

পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, “মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল শিক্ষার্থীরা।  চরটেকী নামাপাড়া এলাকায় বৃষ্টির কবলে পড়েন তারা। এসময় বজ্রপাত হলে তিন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বর্ষাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক বর্ষাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম বলেন, “কটু মিয়া বাড়ি থেকে গরু আনতে চমকপুর বন্দের হাওরে যান। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”