সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে প্রাণহানি বেড়ে ১২, আহত দুই শতাধিক

রাজধানী তেলআবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় দফায় দফায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। রাতভর চালানো এ হামলায় কেঁপে উঠেছে ইসরায়েলি ভূখণ্ড। এতে এখন পর্যন্ত ১২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে, আহত দুই শতাধিক।

শনিবার (১৪ জুন) দিবাগত রাতে রীতিমতো বজ্রের গতিতে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হানে একের পর এক ইরানি মিসাইল। এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ইসরায়েলিদের মাঝে।

রাতে চালানো হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হাইফায়। ইরানি মিসাইল হামলায় হাইফার পূর্বে তামরা শহরের একটি জ্বালানিকেন্দ্রে আগুন ধরে যায়।

মূলত এদিন রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন জ্বালানিকেন্দ্র, বিমানবন্দর এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ইরানের দাবি, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হাইফার একটি জ্বালানি কেন্দ্র। ধ্বংস হয়েছে জ্বালানি সংরক্ষণ কাঠামোর বেশিরভাগ অংশই। এর পাশের আবাসিক এলাকায় ইরানি মিসাইল বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে ৩ ইসরায়েলির।

ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলো ইরান। কিন্তু তারপরও ইরানি ব্যালিস্টিক মিসাইলের একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয় ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

এর আগে, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। মিসাইল হামলা হয় বন্দর আব্বাস লক্ষ্য করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শাহরান তেল মজুদ কেন্দ্রের। এই মজুতকেন্দ্র থেকেই জ্বালানি সরবরাহ করা হয় রাজধানী তেহরানে। এর পাশাপাশি হামলার শিকার হয় ইরানের প্রতিরক্ষা দফতরও।

এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তেহরান পর্যন্ত পৌছানোর পথ আমরা পেয়ে গেছি। আয়াতুল্লাহ প্রশাসনের প্রতিটি ভবন স্থাপনা আমরা ধ্বংস করবো। ইরানের পরিকল্পনা ২০ হাজার মিসাইল তৈরী করা। সেই সাথে পারমাণবিক অস্ত্রও। কিন্তু আমরা সেটি হতে দেবো না। সূত্র: যমুনা নিউজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে প্রাণহানি বেড়ে ১২, আহত দুই শতাধিক

প্রকাশিত সময় : ০৫:১৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

রাজধানী তেলআবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় দফায় দফায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। রাতভর চালানো এ হামলায় কেঁপে উঠেছে ইসরায়েলি ভূখণ্ড। এতে এখন পর্যন্ত ১২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে, আহত দুই শতাধিক।

শনিবার (১৪ জুন) দিবাগত রাতে রীতিমতো বজ্রের গতিতে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হানে একের পর এক ইরানি মিসাইল। এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ইসরায়েলিদের মাঝে।

রাতে চালানো হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হাইফায়। ইরানি মিসাইল হামলায় হাইফার পূর্বে তামরা শহরের একটি জ্বালানিকেন্দ্রে আগুন ধরে যায়।

মূলত এদিন রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন জ্বালানিকেন্দ্র, বিমানবন্দর এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ইরানের দাবি, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হাইফার একটি জ্বালানি কেন্দ্র। ধ্বংস হয়েছে জ্বালানি সংরক্ষণ কাঠামোর বেশিরভাগ অংশই। এর পাশের আবাসিক এলাকায় ইরানি মিসাইল বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে ৩ ইসরায়েলির।

ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলো ইরান। কিন্তু তারপরও ইরানি ব্যালিস্টিক মিসাইলের একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয় ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

এর আগে, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। মিসাইল হামলা হয় বন্দর আব্বাস লক্ষ্য করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শাহরান তেল মজুদ কেন্দ্রের। এই মজুতকেন্দ্র থেকেই জ্বালানি সরবরাহ করা হয় রাজধানী তেহরানে। এর পাশাপাশি হামলার শিকার হয় ইরানের প্রতিরক্ষা দফতরও।

এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তেহরান পর্যন্ত পৌছানোর পথ আমরা পেয়ে গেছি। আয়াতুল্লাহ প্রশাসনের প্রতিটি ভবন স্থাপনা আমরা ধ্বংস করবো। ইরানের পরিকল্পনা ২০ হাজার মিসাইল তৈরী করা। সেই সাথে পারমাণবিক অস্ত্রও। কিন্তু আমরা সেটি হতে দেবো না। সূত্র: যমুনা নিউজ