রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ বিকাল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে ১৯ জন নিহত ও শতাধিক আহতের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধার অভিযানে নামে সেনা, বিমান ও ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। এতে উদ্ধার দৃশ্য ও বিমান দুর্ঘটনা দেখতে ঘটনাস্থলের আশপাশে ছুটে যান শত শত মানুষ। এতে একদিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রম
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা উদ্ধার অভিযানে নামেন। তবে বিপুল সংখ্যক জনতা, ভিডিও ধারণকারী উৎসুক এবং আতঙ্কিত স্বজনদের ভিড়ে তাদের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও জানান, এ ধরনের পরিস্থিতিতে উৎসুক জনতার ভিড় যেমন উদ্ধার কাজের গতি কমিয়ে দেয়, তেমনি সৃষ্টি করে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি। ফলে তড়িঘড়ি করে ব্যারিকেড বসিয়ে জনসাধারণকে সরানোর চেষ্টা করা হলেও থামানো যাচ্ছে না জনতার ঢল।
এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেনা হেলিকপ্টারের সহায়তায় দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয় এবং আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে দ্রুত সিএমএইচ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে আহতদের বহনের জন্য মেট্রোরেলে বগি রিজার্ভ রাখা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়, মাইলস্টোন কলেজে দুর্ঘটনায় আহতদের মেট্রোরেলে বহনের জন্য নারী বগির পাশের বগি রিজার্ভ রাখা হয়েছে।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 





















