মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশের স্বার্থবিরোধী গোপন চুক্তি এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশনের অফিস চালুর উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির নেতাদের অভিযোগ, জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একতরফাভাবে এই চুক্তিতে জড়িয়েছে, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এই সমাবেশে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
সভায় বক্তব্য দেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, সম্পাদক লুনা নূর।
সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণ আশা করেছিল, স্বৈরাচারী আগের সরকারের সময়ে করা গোপন চুক্তিগুলো প্রকাশ করে বাতিল করা হবে। কিন্তু বর্তমান সরকার তা না করে বরং নতুন করে গোপন চুক্তিতে জড়িয়েছে এবং জাতিসংঘ মিশনের অনুমতির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড সরকারের এখতিয়ার বহির্ভূত এবং জনবিচ্ছিন্ন।
নেতারা অভিযোগ করেন, দেশে আইনশৃঙ্খলার কোনো উন্নতি নেই, বরং সরকার নানা রকম দেশবিরোধী চুক্তির মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। এর ফলে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির করালগ্রাসে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এভাবে চলতে থাকলে দেশ একসময় আন্তর্জাতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বক্তব্যে নেতারা, বলেন—মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী সেই শক্তি আজ বাংলাদেশে শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করতে চায়। এ অবস্থায় দেশের জনগণকে সজাগ থাকতে হবে এবং এসব চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাব থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পল্টন মোড় পর্যন্ত যায়। সেখানে সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 






















