সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাইলস্টোন ট্র্যাজিডি: মারা গেল আরো এক শিক্ষার্থী

উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জারিফ ফারহান (১৩) নামে দগ্ধ আরো এক শিক্ষার্থী মারা গেছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্ট রাখা হয়েছিল।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান মৃত্যুর জানান, জারিফের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালী ও ফুসফুস বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

জারিফ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তাদের বাসা উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে। বাবা হাবিবুর রহমান ব্যবসায়ী। দুই ভাই বোনের মধ্যে জারিফ ছিল ছোট।

জারিফের মামা আবু মো. শাহরিয়ার জানান, প্রতিদিন সকালে জারিফের মা তাকে স্কুলে রেখে আসেন। ঘটনার দিনও স্কুলে রেখে বাসায় চলে আসেন তিনি। জারিফের একাই বাসায় ফেরার কথা ছিল। স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান তারা। কিন্তু সেখানে পাননি। দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তার বাবা হাবিবুর রহমানকে ফোন করে জানান, জারিফকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এরপরই বাবাসহ আত্মীয়রা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।

তিসি জানান, অবস্থা অবনতি হলে বিকেলে নেওয়া হয় আইসিইউতে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে লাইফ সাপোর্ট ছিল জারিফ।

গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই শিশু শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আহত হয়ে এখনও অনেকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মাইলস্টোন ট্র্যাজিডি: মারা গেল আরো এক শিক্ষার্থী

প্রকাশিত সময় : ১১:২০:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জারিফ ফারহান (১৩) নামে দগ্ধ আরো এক শিক্ষার্থী মারা গেছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্ট রাখা হয়েছিল।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান মৃত্যুর জানান, জারিফের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালী ও ফুসফুস বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

জারিফ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তাদের বাসা উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে। বাবা হাবিবুর রহমান ব্যবসায়ী। দুই ভাই বোনের মধ্যে জারিফ ছিল ছোট।

জারিফের মামা আবু মো. শাহরিয়ার জানান, প্রতিদিন সকালে জারিফের মা তাকে স্কুলে রেখে আসেন। ঘটনার দিনও স্কুলে রেখে বাসায় চলে আসেন তিনি। জারিফের একাই বাসায় ফেরার কথা ছিল। স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান তারা। কিন্তু সেখানে পাননি। দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তার বাবা হাবিবুর রহমানকে ফোন করে জানান, জারিফকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এরপরই বাবাসহ আত্মীয়রা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।

তিসি জানান, অবস্থা অবনতি হলে বিকেলে নেওয়া হয় আইসিইউতে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে লাইফ সাপোর্ট ছিল জারিফ।

গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই শিশু শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আহত হয়ে এখনও অনেকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।