রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিহত বেড়ে ৩২, আহত ১৩০ জনেরও বেশি

থাইল্যান্ডের সঙ্গে চলমান সীমান্ত বিরোধের ফলে কম্বোডিয়ার কর্মকর্তারা আরও ১২ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন, যার ফলে উভয় পক্ষের মৃতের সংখ্যা এখন ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশীরা আরও দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে।

কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা শনিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আরও সাতজন বেসামরিক নাগরিক এবং পাঁচজন সৈন্যের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের যে বৌদ্ধ প্যাগোডায় তিনি লুকিয়ে ছিলেন সেখানে থাই রকেট হামলায় আরও একজন কম্বোডিয়ান নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মুখপাত্র বলেন, ‘কমপক্ষে ৫০ জন কম্বোডিয়ান বেসামরিক নাগরিক এবং ২০ জনেরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছেন।’

থাইল্যান্ড গত দুই দিনের লড়াইয়ে শিশুসহ ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ছয়জন সৈন্য নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে। কম্বোডিয়ার হামলায় আরও ২৯ জন থাই সেনা এবং ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।

কম্বোডিয়ার প্রিয়াহ ভিহিয়ার প্রদেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সংবাদপত্র দ্য খেমার টাইমস জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের সঙ্গে দেশটির উত্তর সীমান্ত থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

থাই কর্মকর্তাদের মতে, থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, প্রায় ৩০০টি উচ্ছেদ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শুক্রবার থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তবর্তী আটটি জেলায় সামরিক আইন ঘোষণা করেছে।

উল্লেখ্য, থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের একটি বিতর্কিত অংশকে কেন্দ্র করে কয়েক দশক ধরেই এই সংঘাত চলে আসছে। তবে বৃহস্পতিবার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন থাই সৈন্য আহত হওয়ার পর পুনরায় তা চরম পর্যায়ে চলে যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নিহত বেড়ে ৩২, আহত ১৩০ জনেরও বেশি

প্রকাশিত সময় : ০৫:০২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

থাইল্যান্ডের সঙ্গে চলমান সীমান্ত বিরোধের ফলে কম্বোডিয়ার কর্মকর্তারা আরও ১২ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন, যার ফলে উভয় পক্ষের মৃতের সংখ্যা এখন ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশীরা আরও দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে।

কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা শনিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আরও সাতজন বেসামরিক নাগরিক এবং পাঁচজন সৈন্যের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের যে বৌদ্ধ প্যাগোডায় তিনি লুকিয়ে ছিলেন সেখানে থাই রকেট হামলায় আরও একজন কম্বোডিয়ান নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মুখপাত্র বলেন, ‘কমপক্ষে ৫০ জন কম্বোডিয়ান বেসামরিক নাগরিক এবং ২০ জনেরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছেন।’

থাইল্যান্ড গত দুই দিনের লড়াইয়ে শিশুসহ ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ছয়জন সৈন্য নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে। কম্বোডিয়ার হামলায় আরও ২৯ জন থাই সেনা এবং ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।

কম্বোডিয়ার প্রিয়াহ ভিহিয়ার প্রদেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সংবাদপত্র দ্য খেমার টাইমস জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের সঙ্গে দেশটির উত্তর সীমান্ত থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

থাই কর্মকর্তাদের মতে, থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, প্রায় ৩০০টি উচ্ছেদ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শুক্রবার থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তবর্তী আটটি জেলায় সামরিক আইন ঘোষণা করেছে।

উল্লেখ্য, থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের একটি বিতর্কিত অংশকে কেন্দ্র করে কয়েক দশক ধরেই এই সংঘাত চলে আসছে। তবে বৃহস্পতিবার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন থাই সৈন্য আহত হওয়ার পর পুনরায় তা চরম পর্যায়ে চলে যায়।